দফায় দফায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে ধ্বংসস্তূপের নগরী এখন গাজা উপত্যকা। মঙ্গলবার (১৮ মে) রাতেও চলে দফায় দফায় বিমান হামলা। ইহুদি বর্বরতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। যার মধ্যে শিশুই ৬৩ জন। খবর আল-জাজিরার।
ইসরায়েলের অব্যাহত আগ্রাসন ছাড়িয়ে চলেছে পৃথিবীর সব অমানবিকতার মাপকাঠি। বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ আর আহ্বানকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দখলদার ইহুদি বাহিনীর আগ্রাসন চলছেই।
হামাসের গোপন সুরঙ্গ লক্ষ্য করে হামলা চালানোর কথা বলা হলেও রক্ষা পায়নি আন্তর্জাতিক উদ্ধারকারী সংস্থা রেড ক্রিসেন্টের কার্যালয়। স্যাটেলাইটে ধারণকৃত ছবিতেও উঠে আসছে ইসরায়েলি আগ্রাসনের চরম ভয়াবহতার চিত্র।
ইসরায়েলি বর্বরতায় প্রতিদিনই ফিলিস্তিন পাড়ায় ভারি হচ্ছে লাশের মিছিল। বাড়ছে নিষ্পাপ শিশুদের প্রাণহানি। এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন প্রায় দেড় হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি। যারমধ্যে সাড়ে ৩শ’ নিষ্পাপ মুখ। প্রাণে বাঁচতে জাতিসংঘ পরিচালিত বিভিন্ন স্কুলে আশ্রয় নিলেও ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে মিলছে না রেহাই।
তারা বলছেন, আমাদের ওপর ইসরায়েল রীতিমতো গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করি, বিশ্ব সম্প্রদায় আমাদের পাশাপাশে দাঁড়াবে। ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ করবে। শুধু এই আশ্রয় কেন্দ্রেই ৪০ হাজারের মতো মানুষ রয়েছি। খাবার নেই। আবার কখন যেন ইসরায়েল আমাদের ওপর হামলা চালায়। বেঁচে থাকার মতো পরিস্থিতি দেখছি না।
গাজার পাশাপাশি এবার লেবাননে আগ্রাসন শুরু করেছে ইসরায়েল। রকেট হামলার অভিযোগে লেবানানের দক্ষিণ সীমান্তে ২২টি রকেট শেল নিক্ষেপ করে ইহুদি বাহিনী। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের উত্তাপ ছড়িয়েছে জর্ডান সীমান্তেও।
খুলনা গেজেট/কেএম