খুলনা, বাংলাদেশ | ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  খুলনায় মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের সংঘর্ষে নিহত ২
  ফ্যাসিবাদের শেকড় অনেক দূর ছড়িয়ে গেছে : আইন উপদেষ্টা

এবার উত্তরপ্রদেশের নদীতে ভাসছে লাশ, পানি দূষিত হয়ে রোগের আশঙ্কা

আন্তর্জা‌তিক ডেস্ক

বিহারের পর এবার ভারতের উত্তরপ্রদেশের গাজীপুরে গঙ্গার ধারে সারি সারি লাশ ভেসে উঠল। এনডিটিভি জানাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশের যেখানে মঙ্গলবার (১১ মে) লাশ ভাসতে দেখা গেছে, সেখান থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে বিহারে গতকাল ভেসে উঠেছিল শতাধিক লাশ।

ধারণা করা হচ্ছে, করোনায় মৃতদের লাশ এভাবে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে দুঃখ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে মানুষের মধ্যে। ‍

সোমবার সকালে বিহার রাজ্যের বক্সার জেলায় গঙ্গা নদীতে লাশগুলো পাওয়ার পরই বিহার কর্তৃপক্ষ যুক্তি দিয়েছিল যে, এসব মরদেহ উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেছে। কারণ বিহারে লাশ নদীতে ভাসানোর প্রথা নেই। মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশে লাশ ভেসে ওঠায় তাদের এ যুক্তি ভিত্তি পেয়েছে। করোনায় বিপর্যস্ত ভারতের নির্মম ও করুণ এই দৃশ্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

মহামারি করোনায় ভারতের অবস্থা বিপর্যস্ত। দেশটিতে রেকর্ড সংক্রমণ ও মৃত্যুর সঙ্গে স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থায় চরম সংকট দেখা দিয়েছে। এনডিটিভি লিখেছে, দেশের উত্তরাঞ্চলে গ্রামে গ্রামে প্রকোপ ছড়িয়েছে করোনা। এসব মানুষের করোনায় মৃত্যু হয় বলেই ধারণা।

এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, গ্রামাঞ্চলের শশ্মানগুলোতে কোভিড প্রতিরোধ সংক্রান্ত সুরক্ষাবিধি মানার কোনো বালাই নেই। স্থানীয়রা সৎকারের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ানোর ব্যাপারে শঙ্কিত। এতে করে মৃতদের পরিবার প্রিয়জনের লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে।

নদীতে লাশ ভেসে আসায় পানি দূষিত হয়ে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়ানোর ব্যাপারে স্থানীয়রা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, নদীতে লাশ ভেসে আসার বিষয়টি তারা জানতে পেরেছেন এবং তাদের কর্মকর্তারা এখন ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছেন।

গাজীপুর ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট এমপি সিং দেশটির বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি। এরপর ঘটনাস্থলে আমাদের কর্মকর্তারা হাজির হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। লাশগুলো কোথা থেকে আসলো তা আমরা খুঁজে দেখার চেষ্টা করছি।’

তবে ব্যাপক দুর্গন্ধের কথা জানিয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অদক্ষতার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। আখন্দ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থাকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যদি এই অবস্থা চলতে থাকে তাহলে আমাদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।’

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!