চতুর্দশ রাউন্ডের পর নন্দীগ্রামে ২ হাজার ৩৩১ ভোটে এগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গণনা যত এগোচ্ছে, ততই তৃণমূলের জয়ের ছবি স্পষ্ট হচ্ছে। আর তাতেই উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভেঙেছে কালীঘাটে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। ভোটবাক্সে যে ফলাফল ধরা পড়েছে, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে তাতে বাঁধ মানছে না উচ্ছ্বাস। রাস্তার উপরই আবির খেলা শুরু হয়েছে। ঢাক ঢোল বাজিয়ে জয়ধ্বনি শোনা যাচ্ছে দলের নামে।
গত এক মাস ধরে ৮ দফায় ভোটগ্রহণ চলেছে রাজ্যে। রবিবার সকাল থেকে তার ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়েছে। আর তাতে শুরু থেকেই গেরুয়া শিবিরের থেকে এগিয়ে তৃণমূল। দুপুর সাড়ে তিনটা পর্যন্ত রাজ্যে ২০৬টি আসনে এগিয়ে রয়েছে জোড়াফুল শিবির। বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৮৩টি আসনে। বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ-এর সংযুক্ত মোর্চা ৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
কোভিড পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে বিশেষ সতর্কতা জারি রয়েছে শহর কলকাতায়। তাই কালীঘাটে মমতার বাড়ির কাছাকাছি কাউকে ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না। সমর্থকদের ভিড় জমতে শুরু করলেও কালীঘাট রোডের সামনেই আটকে দেওয়া হয় সকলকে। সেখানেই ঢাকঢোল বাজিয়ে উৎসবে শামিল হন তৃমমূলের কর্মী ও সমর্থকরা। সমস্বরে ‘জয় বাংলা’, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধ্বনি শোনা যায়।
তবে মমতা বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অথবা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদের বক্তব্য, ‘‘উত্তরপ্রদেশ, বিহারের মতো জাতপাত, ধর্মের নিরিখে ভোট হয় না বাংলায়। আমরা কাজ করেছি। মানুষ তাঁদের মতামত দিয়েছেন।’’ দলের সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইটারে লেখেন, ‘মোদী, শাহ, বিজেপি, সিবিআই, ইডি, নির্বাচন কমিশন, গোদী মিডিয়া, বিশ্বাসঘাতকদের প্রবল প্রতাপ দিদি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল কর্মী এবং বাংলার মানুষের সামনে কাজে এল না’।
খুলনা গেজেট/ এস আই