গণনা শেষ হতে সন্ধ্যা পেরিয়ে যেতে পারে। কিন্তু দুপুর ১ টাতেই দু’শতাধিক আসনে এগিয়ে দল। তাতেই জয় সম্পর্কে নিশ্চিত তৃণমূল। তবে দেশের করোনা যে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, তাতে এটা উচ্ছ্বাস দেখানোর সময় নয় বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
তাঁর বক্তব্য, ‘‘এই জয়ে কোনও বিজয় মিছিল হবে না। এটা আনন্দ করার সময় নয়। রাজ্যে কত মানুষ মারা যাচ্ছেন। আমার নিজের অনেক আত্মীয় মারা গিয়েছেন। এমনকি যাঁরা আমাকে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই নেই। এই অবস্থায় বিজয় মিছিল বা আনন্দ করার মতো মানসিক অবস্থা নেই আমার।’’
নীলবাড়ির লড়াইয়ে ফিরহাদ নিজে কলকাতা বন্দর থেকে প্রার্থী হয়েছেন। সেখানে দুপুর পর্যন্ত বিজেপি-র অওয়ধ কিশোর গুপ্তর সঙ্গে তাঁর প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান ১৭ হাজার। তবে জিতবেন বলে শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কোনও দুশ্চিন্তা নেই আমার। টেনশন লেনে কা নহি, দেনে কা হ্যায়। মানুষের জন্য কাজ করেছি। আমি নিজেকে ‘ফর দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, টু দ্য পিপল’ বলে মনে করি। মানুষ বিবেচনা করে মতামত দিয়েছেন।’’
তবে নিজের কেন্দ্রে ফিরহাদ প্রতিপক্ষের থেকে নিরাপদ ব্যবধান বজায় রাখতে সক্ষম হলেও, নন্দীগ্রাম ভাবাচ্ছে তৃণমূলকে। সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পিছিয়ে পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ফিরহাদের বক্তব্য, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। আমরা কাজ করেছি। উত্তরপ্রদেশ, বিহারের মতো ধর্ম, বর্ণ, জাতির ভিত্তিতে ভোট হয় না বাংলায়। দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফিরছে তৃণমূল। তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’
দুপুর একটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নন্দীগ্রামে ষষ্ঠ রাউন্ডের গণনা শেষে শুভেন্দু অধিকারী ৭২৬২ ভোটে এগিয়ে মমতার থেকে।
রাজ্যে মোট ২৯২ আসনের মধ্যে তৃণমূল ২০৬টিতে এগিয়ে আছে। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৮৩ টিতে।
খুলনা গেজেট/এনএম