বাগেরহাটে পঁচিশ বছর বয়সী এক নারী দলিল লেখক সহকর্মীর সহযোগিতায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। বুধবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। গত ২৬ এপ্রিল রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের কালদিয়া গ্রামের একটি রাইস মিলে এই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় বুধবার রাতে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় ধর্ষণের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। বৃহষ্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। জড়িত অন্য দু’জনকে ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
ধর্ষণের শিকার নারীর বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর গ্রামে। কয়েক বছর আগে তার বিয়ে হয়। কিছুদিন হলো তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের কালদিয়া গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন। তিনি পেশায় জেলা জমি রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক। ধর্ষণের শিকার নারী তার সহকর্মী ছিলেন। শোভন শেখ একই গ্রামের বাসিন্দা। পলাতক দু’জনের বাড়িও ওই কালদিয়া গ্রামে।
মামলার এজাহারের বরাতে বাগেরহাট মডেল থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই নারী বাগেরহাট জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের দলিল লেখক আলমগীর হোসেনের সহকারি হিসেবে কাজ করতেন। পূর্ব পরিচিত হওয়ায় গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় আলমগীর ওই নারীকে বেড়ানোর কথা বলে তার গ্রামে নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পরে আরও তিনজনের সাথে মেয়েটির পরিচয় হয়। এরপর মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে একটি মিলে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা।
বুধবার থানায় এসে মেয়েটি অভিযোগ দিলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে দলিল লেখক আলমগীর ও শোভনকে গ্রেপ্তার করি। এই ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। বৃহষ্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম