সাতক্ষীরায় করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সভা সমাবেশ, পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র আগামী ১৫ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া গণপরিবহন ও হাটবাজারে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সাতক্ষীরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মোস্তফা কামাল এসকল নির্দেশনা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
এতে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধির কারণে সরকারি সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা জেলায় সকল ধরনের জনসমাবেশ যেমন, সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয় (ইসলামিক জলসা, নামযজ্ঞ, প্যাগোডায় প্রার্থনা, সভা সমিতি) ইত্যাদি আয়োজন আগামী ১৫ (পনের) দিনের জন্য সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। পর্যটন/বিনোদন কেন্দ্র/সিনেমা হল ইত্যাদি এ আদেশের আওতায় আসবে। জনসমাগম করে খেলাধূলা এবং সকল প্রকার উৎসব আয়োজন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। বিবাহ অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১০০ জনের অধিক জনসমাগম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হোটেল/রেস্তোরাঁ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শুধুমাত্র ক্ষুধা নিবারণের জন্য খোলা থাকবে। তবে হোটেল/রেস্তোরাঁর ভেতরে অপ্রয়োজনীয় আড্ডা এবং জনসমাগম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। মসজিদ, মন্দিরসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে নামাজ এবং প্রার্থনাকালে কোভিড স্বাস্থ্য প্রটোকল তথা ৩ (তিন) ফুট দূরে অবস্থান এবং মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে।
শপিংমলসহ সকল প্রকার হাট-বাজারে ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে শতভাগ মাস্ক পরিধান এবং ৩ (তিন) ফুট দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে হবে। ব্যর্থতায় ক্রেতা-বিক্রেতার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আন্তঃজেলা এবং অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী সকল বাস মালিককে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক যাত্রী পরিবহন এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। এর কোনরূপ ব্যত্যয় ঘটলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শহরের অভ্যন্তরে এবং আন্তঃউপজেলা চলাচলকারী সকল গণপরিবহনের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে।
সকল ধরণের কোচিং সেন্টার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। প্রয়োজনে বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরা/আড্ডা বন্ধ থাকবে। আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/কেএম