শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যশোর পৌরসভার ভোটগ্রহণ চলছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি। বুধবার সকাল ৮টা থেকে পৌরসভার নির্বাচনে প্রথমবারের মত ইভিএমে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ।
যশোর পৌরসভা ব্রিটিশ ভারতের দ্বিতীয় পৌরসভা। এখানে ভোট গ্রহণের তারিখ ছিল গত ২৮ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু সীমানা জটিলতা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হওয়ায় নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। আপিলের কারণে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত হওয়ায় নির্বাচন কমিশন বুধবার ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে।
এ পৌরসভা এলাকার ৫৫টি কেন্দ্রে ও ৪৭৯টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের তিন প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। তবে বিএনপির প্রার্থী ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়া কাউন্সিলর পদে ৪৭জন ও নারী কাউন্সিলর পদে ১৩জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পৌরসভা এলাকার মোট এক লাখ ৪৬ হাজার ৫৯২জন ভোটার প্রথমবারের মত ইভিএমে ভোট প্রদানের মাধ্যমে তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৭২ হাজার ৪৫জন, নারী ভোটর ৭৪ হাজার ৫৪৯জন।
ভোটাররা জানিয়েছে, কোন বাধা বিপত্তি ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পেরেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও সন্তোষজনক বলে জানিয়েছেন তারা।
বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসাররা জানিয়েছেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চালিয়ে যাচ্ছেন। বয়স্কদের অগ্রাধিকার দিয়ে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। ইভিএমে ভোট হওয়ায় কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে বিকেল চারটার মধ্যে ভোটকেন্দ্রে যারা থাকবেন তাদের চারটার পরেও ভোটগ্রহণ করা হবে।
যশোর পৌরসভার নির্বাচনে এক হাজার ৪৫০জন নির্বাচনী কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ১২শ’ সদস্য কাজ করছেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই