খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, রাজি পাকিস্তান; ভারতের ম্যাচ দুবাইয়ে : বিসিবিআই সূত্র
  গুমের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ সদস্য চাকরিচ্যুত, গুম কমিশনের সুপারিশে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে

সাতক্ষীরায় একই পরিবারের ছয় সদস্যকে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুট

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরায় ঘরে চেতনা নাশক স্প্রে করে একই পরিবারের ছয় সদস্যকে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার ভোর রাতে সাতক্ষীরা পৌর শহরের বাগানবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় ওই পরিবারের ছয়জনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরা পৌর শহরের বাগানবাড়ি এলাকার মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে বাড়ির মালিক মোঃ ফজলে রহমান (৫০), তার স্ত্রী মোছাঃ রহিমা খাতুন (৪২), ছেলে মোঃ পারভেজ রহমান (২৩), মেয়ে ফারিয়া খাতুন (১১), ফজলে রহমানের বড় বোন মেল্লেকপাড়া গ্রামের মোঃ আব্দুস সবুরের স্ত্রী মোছাঃ নুরজাহান বেগম (৬৫) ও নুর জাহানের নাতনি বাটকেখালী এলাকার রমজান আলীর মেয়ে নিশি (২২)।

স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন মিলন জানান, শনিবার ভোর রাতে কোন এক সময় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ইটভাট মালিক বাগানবাড়ি এলাকার ফজলে রহমানের বাড়ির দোতালার সিঁড়ির ঘরের দরজা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে। এসময় তারা দোতলা ও নিচের তলার কয়েকটি রুমে চেতনা নাশক স্প্রে করে। এতে ঘরের সবাই অচেতন হয়ে পড়লে জানালার গ্রীল কেটে দুর্বৃত্তরা ঘরের মধ্যে ঢুকে বাড়ির সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায়। ভোর ৬ টার দিকে পাশের ঘরে ঘুমিয়ে থাকা ফজলে রহমানের বড় ছেলে জাহিদ ও তার স্ত্রী তাদের বাবা মাকে না উঠতে দেখে ঘরে গিয়ে দেখতে পান তারা অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। পাশের ঘরে ছোট ভাই বোনেরও একই অবস্থা। ঘরের আসবাবপত্র সবকিছু উলোটপালট করা রয়েছে। তার ফুফি নুরজাহান বেগম ও নিশি নিচের তলায় একটি ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। তারাও একইভাবে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। সাথে সাথে তাকে (মিলন) খবর দেয়া হয়। তিনি নিজে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।

ফজলে রহমানের বড় ছেলে জাহিদ জানান, দেবহাটা কুলিয়া এলাকায় জাহিদ ব্রিকস নামের তাদের একটি ইটভাটা রয়েছে। ব্যাংক বন্ধ থাকায় গত দুই দিনের ইট বিক্রির টাকা বাবা বাড়িতে নিয়ে রেখেছিলেন। একই সাথে মা ও বোনের গহনা ছিল বাড়িতে। তবে কি পরিমাণ স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুট হয়েছে তার বাবা ছাড়া এই মুহুর্তে কেউ বলতে পারবে না।

এদিকে খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!