বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হাঁটুর চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে। তাই যথা সময়ে সরকারের কাছে তার বিদেশে চিকিৎসার জন্য আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন দলের যুগ্ম-মহাসচিব ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যরিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রোববার (২ আগস্ট) দিনগত রাতে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসায় গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করার পর গণমাধ্যমের কাছে এসব কথা বলেন এই আইনজীবী।
যদিও একদিন আগে ঈদুল আজহার দিন রাতে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠকের পর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেছিলেন যে, তার চিকিৎসা দরকার। কিন্তু কোথায় চিকিৎসা নেবেন সেটা এখনও ঠিক হয়নি।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, উনার শারীরিক অবস্থা ভালো না। হাতের আঙুলগুলোতে সমস্যা ছিল, হাতটা বাঁকা হয়ে গিয়েছিল। তারপর হাঁটুর রিপ্লেসমেন্ট বিদেশে হয়েছিল। হাসপাতালে থাকাকালে ব্যাথা ছিল, এখন আরও বেড়ে গেছে। পায়ের হাঁটুর যে রিপ্লেসমেন্ট সেটা মেইনটেনেন্স করার কোনো ব্যবস্থা নেই, চেকআপও করার ব্যবস্থা নেই। হাতের আঙুলগুলো সার্বক্ষণিক ব্যাথা করে।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে তিনি চিকিৎসা করতে পারছেন না, কোনো হাসপাতালেও যেতে পারছেন না। চিকিৎসকরা প্রতিদিন বাসায় এসে দেখতেছেন। কিন্তু ইমপ্রুভ করছে না। আরও জটিলতার সৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে। এখন চিকিৎসা করাবেন টেস্ট করার জন্য হাসপাতালে যেতে হবে, কিন্তু হাসপাতাল ঝুঁকিপূর্ণ। ওনার যে বয়স সেজন্য আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন বলেন, তার (খালেদা জিয়ার) চিকিৎসা করতে হবে। আমরা আশাবাদী সরকার এটা বিবেচনা করবে। বিশেষ করে বিদেশে যে উনার হাঁটু রিপ্লেসমেন্ট হয়েছে, সেটারজন্য হয়তো পার্টিকুলারলি বিদেশে যাওয়া লাগতে পারে। আমরা আশা করি, সরকার যেহেতু তাকে মুক্তি দিয়েছে চিকিৎসার জন্য। তো বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে সেজন্য হয়তো সরকার তাকে পারমিশন দিতে পারে। এজন্য যথা সময়ে আবেদন করা হবে।
গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের এক নম্বর বাড়ি ফিরোজায় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে নয়টা পর্যন্ত খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। এ সময় খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।