নানা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ থাকা দৈনিক কালের কন্ঠ ও একাত্তর টেলিভিশন এর বাগেরহাটের ষ্টাফ রিপোর্টার বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্তীকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়াম থেকে বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের সহযোগিতায় শিকদার গ্রুপের একটি এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়া হয় তাকে।
এ সময় বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মাদ মোচ্ছাবিরুল ইসলাম, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নিহার রঞ্জন সাহাসহ বাগেরহাটে কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্তীর সাথে তার মা, ছোট ভাই ও বোন জামাই ঢাকায় গেছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্তীকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হবে।
বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্তীর উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করায় সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাগেরহাটের গণমাধ্যমকর্মীরা।
সাংবাদিক মীর জায়েসী আসরাফি জেমস বলেন, আমাদের সহকর্মী বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্তী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। বাগেরহাট সদর হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসা হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি সুস্থ হননি। আজ সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের সহযোগিতায় এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্তীকে ঢাকায় নেওয়া হল। আমরা সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়কে ধন্যবাদ জানাই। আশাকরি বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্তী খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।
বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন বলেন, দুই তিনদিন আগে আমাদের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময় জানতে পারেন সাংবাদিক বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্তী অসুস্থ। তারপর তিনি বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্তীর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এমপি শেখ তন্ময় সব সময় বাগেরহাটের মানুষের প্রতি খেয়াল রাখেন তা আবারও প্রমাণিত হল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি করোনার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার পর থেকে মাথা ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট, বুক-পিঠে ব্যাথা, শরীরে দূর্বলতা, সার্বক্ষণিক জ্বরসহ নানা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ রয়েছেন সাংবাদিক বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্তী। পরবর্তীতে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউতে দুই দফায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেও এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে কোন রোগ শনাক্ত হয়নি।
খুলনা গেজেট/এনএম