দুই হাজার কোটি টাকা অর্থ পাচার মামলায় ফরিদপুর শহর আ’লীগের সভাপতি নাজমুল হাসান খন্দকার লেভী ও জেলা শ্রমিক লীগের অর্থ সম্পাদক বিল্লাল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে দুই হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে শহর আওয়ামী লীগের সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডির পরিদর্শক এসএম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে গত ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন সংশোধনী ২০১৫ এর ৪(২) ধারায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
গত শুক্রবার তিনদিনের রিমান্ড শেষ হওয়ার পর রুবেল ও বরকত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। রুবেল ও বরকত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ‘যাদের আশ্রয়, প্রশ্রয়ে থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন’ তাদের সবার নাম উল্লেখ করেছেন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বিপিএম জানান, অর্থ পাচার মামলার মূল আসামী বরকত-রুবেলের জবানবন্দিতে যাদের নাম এসেছে তাদের আটক করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসাবে দুপুরে নাজমুল হাসান লেভী ও বিল্লাল হোসেনকে তাদের বাড়ি থেকে আটক করা হয়। আটকের পর তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম