সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুড়িকাউনিয়াতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ তিন শ্রমিকের মধ্যে বাবর আলী নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে কুড়িকাহুনিয়া লঞ্চঘাটের বিপরীতে খুলনার কয়রা উপজেলার দশালীয়া এলাকায় কপোতাক্ষ নদে মরদেহটি ভেসে উঠলে তা উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
নিহত শ্রমিক বাবর আলী সরদার (৪৫) সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের কাপসন্ডা গ্রামের মনজিল সরদারের ছেলে। তবে, ট্রলার ডুবির পর ৫৬ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন শফিকুল ইসলাম ও আব্দুল আজিজ নামে দুই শ্রমিক।
প্রত্যক্ষদর্শী হাসানুল জানান, দুপুর ১২টার দিকে কপোতাক্ষ নদের দশালীয়া এলাকায় কপোতাক্ষ নদে সাদা কিছু একটা ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। তাদের চিৎকার শুনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক তারেক হাসান ভুঁইয়া জানান, নিখোঁজ বাকি দুই শ্রমিককে উদ্ধারে তৃতীয় দিনের মতো অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে কপোতাক্ষ নদের পাউবো’র বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে কুড়িকাউনিয়া এলাকায় বিশালাকৃতির খাল তৈরি হয়। গত ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে সেনা বাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে পাউবো’র নিয়োগকৃত ঠিকাদারের মাধ্যমে ভাঙ্গন পয়েন্ট মেরামতের কাজ চলছে। বিভিন্ন স্থানের শ্রমিকরা ঠিকাদারের অধীনে এই ভাঙ্গন পয়েন্ট গত আড়াই মাস ধরে কাজ করছে। মঙ্গলবার ভোর ৬টায় দিকে একটি ট্রলারে করে ১২ জন শ্রমিক বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজে যাওয়ার সময় ভাটার টানে স্রোতের মুখে পড়ে ভাঙ্গন পয়েন্টে ট্রলাটি ডুবে যায়। এসময় ট্রলারটিতে থাকা ১২ জনের মধ্যে নয়জনকে তাৎক্ষনিক উদ্ধার করা সম্ভব হলেও তিনজন নিখোঁজ থাকে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও সেনা বাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে নিখোঁজ শ্রমিকদের উদ্ধারে মঙ্গলবার দিনভর অভিযান অব্যহত রাখে। কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদরেকে উদ্ধার করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস ও ফায়ার সিভিল ডিফেন্স এর ডুবুরীরা। নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে আজ একজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম