সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাউনিয়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে সৃষ্ট খালে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার ভোর ৬টায় দিকে বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজে যাওয়ার সময় ভাটার টানে স্রোতের মুখে পড়ে এই ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। ট্রলারটিতে থাকা ১২ জনের মধ্যে নয়জনকে তাৎক্ষনিক উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনো তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।
নিখোঁজ বাঁধ নির্মাণ শ্রমিকরা হলেন বাবুর আলী, শফিকুল, আজিজ। তারা আশাশুনির শ্রীউলা এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া ট্রলার ডুবির ঘটনায় আহত একজনকে পাইকগাছার জায়গির মহল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আলফাজ হোসেন জানান, বাঁধের কাজে যাওয়ার পথে খাল পার হওয়ার সময় স্রোতের তোড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এখনো তিনজন নিখোঁজ রয়েছে। ভাটার সময় হওয়ায় তারা মূল কপোতাক্ষ নদের দিকে ভেসে গেছে।
ট্রলার চাকল নুর ইসলাম জানান, ১২ জন শ্রমিক নিয়ে পার হওয়ার সময় স্রোতের মুখে ঘোলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। দুইজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনো তিনজন নিখোঁজ আছে। ট্রলারটি নদীতে পাতা জালে আটকা পড়ায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন বলেন, ভাঙ্গন পয়েন্টে কাজ করার জন্য শ্রমিকরা নৌকায় চড়ে এক পার থেকে অন্য পারে যাচ্ছিল। প্রতিমধ্যে খালের মাঝামাঝি এলাকায় পৌছালে কপোতাক্ষ নদের প্রবল স্রোতের টানে হঠাৎ নৌকাটি ডুবে যায়। তাৎক্ষণিক সাতজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও তিনজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তারা শীঘ্রই নিখোঁজ শ্রমিকদের উদ্ধার কাজ শুরু করবে। এছাড়া নৌকায় করে নিখোঁজ শ্রমিকদের উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে কুড়িকাউনিয়া এলাকায় বিশালাকৃতির খাল তৈরি হয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে সেনা বাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে ভাঙ্গন পয়েন্ট মেরামতের কাজ চলছে। বিভিন্ন স্থানে শ্রমিকরা ঠিকাদারের অধীনে এই ভাঙ্গন পয়েন্ট গত আড়াই মাস ধরে কাজ করছে।
খুলনা গেজেট/এনএম