পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগর এবং খুলনার কয়রা এলাকায় সমীক্ষা চালিয়ে টেকসই বেঁড়ি বাঁধের পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এটি একনেকে অনুমোদন হলে বর্ষা মৌসুমের আগেই এই এলাকায় স্থায়ী বেঁড়ি বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘুর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ও শ্যামনগরের গাবুরা, পদ্মপুকুর ইউনিয়ন এবং খুলনার কয়রা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আম্পানের পর উপকুলীয় এইসব এলাকার মানুষের দুঃখ দুর্দশা আমরা দেখেছি। আগামীতে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে যাতে আর কোন ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেই লক্ষে আমরা কাজ করছি। বেড়িবাঁধের ১২টি পয়েন্টের নির্মাণ কাজ তদারকির দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ জায়গায় সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে কাজ সম্পন্ন করেছে। এজন্য ১২টি পৃথক প্রকল্পে সেনাবাহিনীকে ৭৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, করোনার কারনে একটু দেরী হলেও ইতিমধ্যে বেঁড়িবাধ সংস্কার করে লোকালয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষের দুঃখ দূর্দশা অনেকটা লাঘব হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বেঁড়িবাঁধ দিতে গিয়ে যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
এসময় করোনা ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভ্যাকসিনে কোন ভয় নেই। ভ্যাকসিন নিয়ে অনেকে গুজব ছড়াচ্ছে। অগামী ৭ তারিখ থেকে দেশব্যাপি ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এটা দিলে সবাই সুরক্ষা থাকবেন। সুস্থ্য থাকবেন, ভালো থাকবেন। মাক্স ছাড়া চলা যাবে না। দেশ সমৃদ্ধশালী হবে সেটা দেখতে হলে বেঁচে থাকতে হবে।
এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সফর সঙ্গী ছিলেন, খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের সাংসদ আক্তারুজ্জামান বাবু, পানি সম্পদ মন্ত্রাণালেয়র অতিরিক্ত সচিব রোকন উদ দৌলা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহা পরিচালক (পরিকল্পনা) ড. মোঃ মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী রফিকউল্লাহ, কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের প্রমুখ।
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দাতিনাখালী, লেবুবুনিয়া, এবং খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার গোলখালী, বেদকাশী, হরিণখোলা এলাকার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই