খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ পৌষ, ১৪৩১ | ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ঢাকার চিঠি গ্রহণ করেছে দিল্লি, নিশ্চিত করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মুখপাত্র
  ২০২৫ সালে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ৭৬ দিন, একটানা বন্ধ ২৮ দিন

ডিসেম্বরেই শেষ হবে মোংলা-খুলনা রেল লাইনের কাজ : রেলমন্ত্রী

মোংলা প্রতিনিধি

রেল মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, মোংলা-খুলনা রেল লাইন স্থাপনের ফলে মোংলা বন্দরের সামর্থ্য/সক্ষমতা আরো অনেকাংশে বেড়ে যাবে। এখন ট্রাকে যে পণ্য পরিবহণ করতে হচ্ছে রেল চালু হলে তখন রেলে সময় ও খরচ কম লাগবে। পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগও হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন পয়েন্টে এ রেল যোগাযোগ থাকছে। ফলে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান এই চারটি দেশের মধ্যে এ রেল যোগাযোগের মাধ্যমে মোংলা বন্দর ব্যবহার করে প্রত্যেকটি দেশ তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সুবিধা নিতে পারবে। মোংলা-খুলনা রেল লাইন স্থাপনের মধ্যদিয়ে সেই সুযোগটিই তৈরি হচ্ছে।

শনিবার দুপুরে মোংলা-খুলনা রেল লাইন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে এসে মোংলা বন্দরে রেল মন্ত্রী সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, চলতি বছরের জুনের মধ্যে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বে এখনও স্বাভাবিক অবস্থা আসেনি, তারপরও আমাদের প্রজেক্টের কাজ চলমান রয়েছে। তবে করোনায় চলমান এ কাজ বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। সেজন্যই কার্য্য মেয়াদ আরো ৬ মাস বাড়িয়ে আগামী ডিসেম্বরে কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি। রেল লাইনের মাটির কাজ যদি চলতি শুকনো মৌসুমে শেষ হয় তাহলে ডিসেম্বরেই এ রেল লাইন চালু করা সম্ভব হবে। ইতিমধ্যে রুপসা রেল সেতুসহ অন্যান্য ব্রিজ-কালভার্টের কাজ প্রায় শেষের পথে।

মন্ত্রীর রেল লাইনের কাজ পরিদর্শনকালে তার সাথে ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, রেলপথ মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ সেলিম রেজা, মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমলেশ মজুমদার, মোংলা-খুলনা রেল লাইন নির্মাণের ভারতীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইরকনের প্রকল্প ম্যানেজার অজিত কুমার, ডেপুটি ম্যানেজার তীর থংকর জানা ও বিরেন সাহা।

২০১৬ সালে শুরু হওয়া মোংলা-খুলনা রেল লাইন নির্মাণ কাজে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। নানা প্রতিকুলতার কারণে চতুর্থবারের মতো ২০২১ সাল পর্যন্ত এ প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকী কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। এ রেলপথ প্রকল্পটি তিনটি অংশে বিভক্ত। রেলসেতু, রেললাইন ও টেলিকমিউনিকেশন এবং সিগন্যালিং। এছাড়া রুপসা রেল সেতুসহ ২১টি ছোট-মাঝারি ব্রিজ ও ১১০টি কালভার্ট নির্মিত হচ্ছে এর আওতায়।

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!