হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ‘গোল্ডেন আওয়ারে’ হাসপাতালে ভর্তি করানোর ফলেই আপাতত বিপদমুক্ত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সৌরভের পরিবার এবং হাসপাতাল সূত্রে তেমনই বলা হচ্ছে। শনিবার সকালে বাড়ির জিমে ট্রেডমিলে হাঁটার সময় বুকে ব্যথা হওয়ায় আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন সৌরভ। তিনি নিজেই দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ফোন করেন। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে চলে আসতে বলা হয়। সৌরভ নিজেই হাসপাতালে চলে আসেন।
দেখা যায়, তাঁর হৃদ্পিণ্ডে রক্ত সরবরাহকারী তিনটি ধমনীতে ‘ব্লকেজ’ রয়েছে। তার মধ্যে একটিতে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করে ‘স্টেন্ট’ বসানো হয়েছে। বাকি দু’টিতেও ‘স্টেন্ট’ বসানো হবে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। সেগুলি সোমবার বসানো হতে পারে। আপাতত সৌরভ স্থিতিশীল। অসমর্থিত সূত্রের খবর, সৌরভকে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য মুম্বাই নিয়ে যাওয়া হতে পারে। তবে সে সবই নির্ভর করছে তাঁর শারীরিক অবস্থার উপর। এখন আরও অন্তত চার-পাঁচদিন তাঁকে হাসপাতেলই থাকতে হবে।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের অসুস্থতায় ‘গোল্ডেন আওয়ার’ গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় ‘গোল্ডেন আওয়ার’ হল অসুস্থতার পরের ছ’ঘণ্টা। মৃদু হৃদ্রোগে আক্রান্ত হলে অনেকেই তা বুঝতে পারেন না। অনেক সময়ে মনে হয়, গ্যাসের সমস্যা হয়েছে। ফলে অনেকেই অ্যান্টিসড বা ওই ধরনের ওষুধ খেয়ে নেন। আসল অসুস্থার কোনও চিকিৎসা হয় না। ছ’ঘণ্টা ওই অবস্থায় থাকলে কিন্তু বিপদ অবশ্যম্ভাবী। তবে ওই অসুস্থতার ছ’ঘন্টার মধ্যে চিকিৎসা শুরু হলে বড়সড় বিপদ এড়ানো যায়। সৌরভের ক্ষেত্রেও সেটা হয়েছে।
সৌরভ নিজেই হাসপাতালে ফোন করেছিলেন বলে বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। ফলে সৌরভ আপাতত স্থিতিশীল। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সৌরভ ভাল আছেন। স্থিতিশীল। রক্তচাপ এবং নাড়ির গতি স্বাভাবিক আছে। সৌরভের চিকিৎসায় পাঁচজনের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠিত হয়েছে। বোর্ডের সদস্য আফতাব খান বলেছেন, ‘‘উনি একটা মৃদু হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু উনি নিজেই ফোন করে হাসপাতালে চলে আসেন। তাই বড় বিপদ এড়ানো গেছে।’’
খুলনা গেজেট/এ হোসেন