যশোরের বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ভোল্ট ভেঙে প্রায় ২০ কেজি সোনা চুরি মামলায় ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন কাস্টমসের সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা বিশ্বনাথ কুন্ডু। সিআইডি ঢাকা জোনের কর্মকর্তারা রোববার রাতে তাকে ঢাকার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন। এর আগে বিশ্বনাথ কুন্ডু বেনাপোলে ঐ একই পদে কর্মরত ছিলেন।
২০১৯ সালের ৭ নভেম্বরের রাত ৮টা থেকে ১১ নভেম্বর সকাল ৮টার মধ্যে যে কোনো সময় বেনাপোল কাস্টমস হাউজের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলার গোডাউনের তালা ভেঙ্গে ফাইল ক্যাবিনেট খুলে ১৯ কেজি ৩শ’ ১৮.৩ গ্রাম সোনা চুরি হয়। যার মুল্য ১০ কোটি ৪৩ লাখ ১৭ হাজার ৩শ’ ৬২ টাকা। এই লকারের চাবি কাস্টমসের বর্তমান সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা শাহিবুল সরদারের কাছে থাকতো। চুরি হওয়া লকারের তালা অক্ষত ছিল। এছাড়া ওই লকারের তৃতীয় ড্রয়ারে আরো ৭ কেজি সোনা অক্ষত ছিল। ওই গোডাউনে আরেক আলমারিতেও প্রায় চার কোটি টাকার বিভিন্ন মূল্যবান জিনিষপত্র ছিল। সেগুলোও ছিল অক্ষত। চুরির সময় সিসি ক্যামেরাও বন্ধ ছিল। এসব বিষয় বিবেচনায় প্রথমে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহিবুলকে সাময়িক বরখাস্ত করে। এরপর পুলিশ তাকে এ মামলায় আটক করে। তিনি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বাধুঁলী খালপাড়ার মৃত জালাল সরদারের ছেলে। এরপর সিআইডি পুলিশ যশোরের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম তাকে রিমান্ডে নিলে তিনি চুরি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন ও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিআইডি ঢাকা জোনের কর্মকর্তারা ঢাকা কাস্টমস রাজস্ব অফিসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বিশ্বনাথ কুন্ডুর বাড়ি থেকে আটক করেন। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার রাতে যশোরের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে সিআইডি যশোর জোনের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তিনি দু’বছর আগে বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এ বিষয়ে সিআইডি যশোর জোনের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বলেন, বেনাপোল কাস্টমসের বিপুল পরিমাণ সোনা চুরির মামলাটি তারা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছেন। ইতিমধ্যে তারা চুরির রহস্য ভেদ করতে পেরেছেন। দ্রুতই প্রকৃত আসামিরা শনাক্ত হবেন। আটক বিশ্বনাথ কুন্ডুকে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম