অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় যশোর ও মেহেরপুরে সবারই নেগেটিভ ফল এসেছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে করোনা ভাইরাস সনাক্তকরণে এ দুুই জেলায় গত তিন দিনে খারাপ খবর নেই। করোনা আক্রান্তের তালিকায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে যশোর শীর্ষে এবং মেহেরপুর নীচে রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় কোন ব্যক্তির যদি নেগেটিভ ফল আসে, তাহলে তাকে আবার আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হবে। প্রাথমিকভাবে চালু হওয়া খুলনা বিভাগের দু’জেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে অন্যান্য জেলায় এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে।
এ প্রদ্ধতিতে ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে নমুনা পরীক্ষার ফল পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিটি রোগীর কাছ থেকে ১ শ’ টাকা করে ফিস নেওয়া হচ্ছে। সাশ্রয়ী মূল্যের পাশাপাশি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফল পেতে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে। এ পরীক্ষার জন্য নাক বা মুখ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
মেহেরপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নাজীর উদ্দিন জানান, গত তিন দিনের পরীক্ষায় ছয় জনেরই নেগেটিভ ফল পাওয়া যায়। জেলায় মার্চ থেকে এ প্রর্যন্ত করোনায় ১৬ জনের মৃত্যু ও ৭২৫ জন আক্রান্ত হয়। যশোরের সিভিল সার্জন ড্াঃ দিলিপ কুমার রায় জানান, শনি থেকে সোমবার প্রর্যন্ত ৫ জনেরই নেগেটিভ ফল পাওয়া যায়। যশোরে এ প্রর্যন্ত করোনায় চার হাজার তিন শ’ ৬৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয় ৫৬ জনের।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালায়ের সুত্র জানায়, রোববার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৫৫ জন রোগীকে পরীক্ষা করা হয়। গত ১০ মার্চ থেকে আজ পর্যন্ত বিভাগে ১ লাখ ২৫ হাজার ৬২ জন কে পরীক্ষা করা হয়। আক্রান্ত হয়েছে ২৪ হাজার ২শ’ ৬৪ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু ৪ শ’২৭ জন।
খুলনা গেজেট/এনএম