বুধবার । ২৬শে নভেম্বর, ২০২৫ । ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

খান এ সবুরের মুসলিম লীগে খুলনায় মাত্র তিনটি আসনে প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুসলিম লীগ খুলনায় ৩টি আসন লাভ করে ইতিহাস সৃষ্টি করে। ৪৬ বছর পর ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে এ সংগঠন জেলায় মাত্র ৩টি আসনে প্রার্থী দেবে। ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে ও সাংগঠনিক তৎপরতা অব্যাহত রাখতে এবারের নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণ।

১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুসলিম লীগের মনোনয়নে দলীয় প্রধান খান এ সবুর জেলার ৩টি আসন থেকে জয়লাভ করে। আসনগুলো হচ্ছে খুলনা-৬, ৮ ও ১৪। দলীয় প্রধানের ছেড়ে দেওয়া উপ-নির্বাচনে খুলনা-৮ (তেরখাদা) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী একেএম জিয়াউদ্দিন পল্টু ও খুলনা-১৪ (সাতক্ষীরা সদর) আসনে মুসলিম লীগ মনোনীত সৈয়দা রিজিয়া ফয়েজ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি জেঃ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাপায় যোগদান করে মন্ত্রী হন।

মুসলিম লীগের ঘাঁটি বলে খ্যাত খুলনা ১৯৮১ সালের ২৫ জানুয়ারি দলীয় প্রধানের মৃত্যুর পর বিএনপি দখল করে নেয়। বাংলাদেশ মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা খান এ সবুরের জন্মস্থান খুলনায় দলটি এখন অস্তিত্ব সংকটে। ১৯৮২-৯০ সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল এ সংগঠনের। শেখ হাসিনার জমানায় কোনো ধরনের হামলা-মামলা না থাকলেও দলের কোনো বিকাশ হয়নি। মুষ্টিমেয় ব্যক্তিদের মধ্যে দল সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। উত্তরাধিকারী সূত্রে এ রাজনীতির হাল ধরেছেন মরহুম শেখ মোহাম্মদ আলীর কন্যা অ্যাডভোকেটঃ বেগম আক্তার জাহান রুকু ও কেসিসির সাবেক প্রশাসক শেখ সিরাজুল ইসলামের ছেলে শেখ জাহিদুল ইসলাম, তারাই জেলা ও নগরীর নেতৃত্বে।

দলের সূত্র বলেছেন, ত্রয়োদশ নির্বাচন প্রশ্নে আজ কেন্দ্রীয় মুসলিম লীগ ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে এক সভার আহ্বান করেছে। দলীয় প্রধান জোবায়দা কাদের চৌধুরী দলের সংসদ সদস্য প্রার্থীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

সূত্রের ভাষ্য অনুযায়ী খুলনা-২ আসনে নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক বেগম আক্তার জাহান রুকু, খুলনা-৩ আসনে জেলা সভাপতি অধ্যাপক ফকির রেজাউদ্দিন, খুলনা-৪ আসনে জেলা সম্পাদক শেখ বাবর আলী দলীয় প্রার্থী হচ্ছেন।

নির্বাচন প্রসঙ্গ নিয়ে নগর সম্পাদক বলেছেন, ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে এবং সাংগঠনিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মূলত এবারে তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ।

তিনি বলেছেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতার মূল উদ্দেশ্য দৌলতপুরের খান ব্রাদার্স, লবণচরার সম্পত্তি ও সবুর ট্রাস্টের সবুর লজ উদ্ধার।

বলেছেন, ট্রাস্টি বোর্ডের পক্ষ থেকে ১১ চিঠি দিয়েও সানফ্লাওয়ার স্কুলকে নামানো যায়নি। নির্বাচনে এ বিষয়গুলো নিয়ে তারা জোরালো দাবি তুলবে।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে এ নির্বাচন হবে অর্থহীন। ফলশ্রুতিতে ফ্যাসিবাদী শক্তি নতুন করে আবির্ভাব হতে পারে। এ ব্যাপারে তিনি দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্য কামনা করেছেন।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন