বাগেরহাটের চিতলমারীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শিবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ নোয়াব আলীসহ উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১১ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার শিবপুর কারিকরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বিএনপি কর্মী মোঃ গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর পুলিশ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছেন। এ ঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাত ১০টার দিকে শিবপুর ইউনিয়নের কারিকরপাড়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগের ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক এসকেন শিকদার ও বিএনপি কর্মী মোঃ গোলাম মোস্তফার সাথে ঝগড়াঝাঁটি হয়।
ঝগড়ার সূত্রধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে শিবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ নোয়াবালী (৫৫), তাঁতীদলের শিবপুর ইউনিয়ন সভাপতি হায়াত আলী মীর (৫০), সহ-সভাপতি শহীদ শিকদার (৬০), সাইফুল কাজী (৪৫), ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পান্না মোল্লা (৬০), হাবিবুর শিকদার (৩৫), শহীদ শিকদার (৬০) এবং এসকেন শিকদার পক্ষের বেদার শিকদার (৫৫), সিরাজ শিকদার (৪০) ও শাহিন ফকির (২৮) গুরুতর আহত হন। আহতদের প্রথমে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে পান্না মোল্লা (৬০) ও হাবিবুর শিকদারের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার বাদী মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে যুবলীগ নেতা এসকেন শিকদার তার লোকজন নিয়ে আমাদের অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। এখনও মোড়লগিরি চালাচ্ছে।’
অত্যাচার-নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে এসকেন শিকদার বলেন, ‘একটি মেয়েলি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওরা আমাদের লোকজনকে মেরেছে।’
শিবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ নোয়াব আলী বলেন, ‘এলাকার দু’পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হলে আমি তাদের ঠেকাতে যাই। এ সময় মারপিটে গুরুতর আহত হয়েছি।’
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকেয়া খানম বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীপন্থি ও বিএনপির লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছি।’
খুলনা গেজেট/এমআর

