বুধবার । ৫ই নভেম্বর, ২০২৫ । ২০শে কার্তিক, ১৪৩২

আশ্রয়ণ প্রকল্প গরু ছাগলের আবাস স্থল

শ্যামনগর প্রতিনিধি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্প গুলোর এখন বেহাল দশা। শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১২টি ঘর থাকলেও ১০টি ঘরে এখন আর কেউ থাকে না, সবগুলো তালাবদ্ধ। এ প্রকল্পে জন্য নেই কোনো পানি, বিদ্যুৎ ও জীবিকার ব্যবস্থা। এসব কারণে দীর্ঘদিন থেকে সেখানে আর কেউ থাকেন না। ফিরে গেছেন পুরনো ঠিকানায়। অপরিকল্পিতভাবে নদীর চরে এসব ঘর নির্মাণ করায় দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের গেটপাড়া গ্রামের স্লুইজ গেটের পাশে মাদার নদীর চরে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের থাকার জন্য ১২টি ঘর নির্মাণ করা হয়। যে ঘরগুলো সরকারের উপহারের ঘর হিসেবে পরিচিত। যার প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। তবে বরাদ্দ পেয়ে সেসব ঘরে ওঠার পর বছর যেতে না যেতেই সেখান থেকে একে একে চলে গেছেন সবাই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি ঘর তালাবদ্ধ। মাত্র দুইটা ঘরে বসবাস করছে একটি পরিবার। দীর্ঘদিন ধরে কেউ না থাকায় সেখানে গরু, ছগল বসবাস করছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বসবাসরত আলাউদ্দিন বলেন, “আমরা কি ভাবে এখানে বসবাস করবো নেই পানির ব্যবস্থা নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। এরপরও নদী ভাঙ্গন আর ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের কারণে প্রতিটা ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে।”

আছিয়া বেগম বলেন, “নদীর পাড়ে থাকা আমাদের আর সম্ভব হচ্ছে না।”

কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমাদের খাবার পানির সমস্যা, গোসল করার মত কোন পুকুর বা টিউবওয়েল নেই বিদ্যুৎ সংযোগ তো দূরের কথা। প্রতিবেশীদের পুকুরে যেতে না দেওয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে কেউ থাকতে চাচ্ছে না।”

এ বিষয়ে কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম বলেন, “এখানে মূলত সমস্যা খাবার পানি, গোসল করার জন্য কোন পুকুর বা টিউবওয়েল নেই, এবং বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি বিষয় গুলো সমাধান করার জন্য।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন-এর সাথে কথা হলে পানি ও বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন