যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামের মাঠ পাড়ার একমাত্র রাস্তাটির বেহাল দশা। রাস্তাটি ভেঙ্গে চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তাটি পাকা করণের জন্য এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন।
তারা জানান, দুই গ্রামের একমাত্র এই রাস্তা দিয়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষের চলাচল। প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় তাদের দুঃখ দুর্দশার অন্ত নেই। দেশের বেনাপোল মডেল পৌরসভার ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট আঁচড়া এবং বড় আঁচড়া গ্রাম থেকে শহরে যাওয়ার এই রাস্তাটি এখন খুবই নাজুক অবস্থায় পরিণত হয়েছে। এই এলাকার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটি। প্রতিদিন হাজার সাধারণ মানুষ ও স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী যাতায়াত করেন এই রাস্তা দিয়ে। এই গ্রামের সকল শাখা রাস্তা ঢালাই এবং পাকা করণ করা হলেও এটি অবহেলায় পড়ে রয়েছে। রাস্তাটির কোথাও খোয়া বা পিচ নেই। রাস্তাটির সব খোয়া বালি উঠে পুকুরে এবং পৌরসভার ড্রেনে চলে গেছে। এমন কোনো দিন নেই যে দু-চারটি ভ্যান ইজিবাইক উল্টে পুকুরে বা পৌরসভার ড্রেনে পড়েনা। শিশু বাচ্চাদের স্কুলে পাঠিয়েও চিন্তায় থাকে অভিভাবকরা। কখন না জানি সন্তানের দুঃসংবাদ কানে আসে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আব্দুল্লাহর পিতা আব্দুল জব্বার বলেন, “এ রাস্তাটি আমার বাড়ির সামনে দিয়ে গেছে। বর্তমানে রাস্তাটির যে কি করুণ অবস্থা তা চোখে না দেখলে কাউকে বোঝানো যাবে না। খুব বেশি রাস্তা না। মাত্র আধা কিলোমিটার রাস্তাটি নিয়ে আমরা আজ তিন বছর ভোগান্তিতে রয়েছি। বেনাপোল পৌর প্রশাসক ও থানা নির্বাহী স্যারের কাছে আকুতি জানাচ্ছি রাস্তাটি দ্রুত ঠিক করে দিয়ে এলাকার মানুষের চলাচলের উপযোগী করে দিতে।
স্থানীয় বাসিন্দা আসাদ বলেন, “গত তিন বছর ধরে এই রাস্তাটি চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপোযোগী হয়ে পড়ে আছে। আর গ্রীষ্মের সময় ধুলোবালি, আর খানাখন্দের কারণে পথচারীরা দুর্ভোগে পড়ছে প্রতিনিয়ত।
স্থানীয় সাবেক পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল জব্বার জানান, এই রাস্তা দিয়ে অনেক কষ্ট ও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন এলাকার সাধারণ মানুষ ও স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। রাস্তাটিতে প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন পথচারীরা। আমরা চাই রাস্তাটি দ্রুত পাকা করা হোক। রাস্তা পাকা হলে অবহেলিত এলাকাটায় আসবে আর্থ-সামাজিক গুণগতমানের পরিবর্তন।
এলাকার আরেক ভুক্তভোগী জিয়াউর রহমান বলেন, “রাস্তাটি দেখলে মনে হয় এ এলাকায় কোন মেম্বার চেয়ারম্যান নেই। তাই দেখার ও কেউ নেই। হঠাৎ পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে এই রাস্তা দিয়ে হাসপাতালে নিতে খুব অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। এ রাস্তা দিয়ে কোনো পরিবহণ আসতে চায় না। যা-ও একটা দুইটা ভ্যান ইজিবাইক ঝুঁকি নিয়ে চলে তার অধিকাংশই পালটি খেয়ে পুকুরে বা পৌরসভার ড্রেনে গিয়ে পড়ে।”
বেনাপোল পৌর প্রশাসক এবং শার্শা থানা নির্বাহী কর্মকর্তা ডাঃ কাজী নাজিব হাসান বলেন, “আমি নিজে রাস্তাটির বেহাল দশা দেখেছি। মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলে খুব তাড়াতাড়ি রাস্তাটির কাজ শুরু করা হবে।”
খুলনা গেজেট/এনএম