কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলাকে একত্রিত করে সংসদীয় আসন সাতক্ষীরা-৪ বজায় রাখার দাবিতে জেলা প্রশাসক ও নির্বাচন কমিশন বরাবর পৃথক দুটি স্মারকলিপি প্রদান করেছে উপজেলা বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মণ্ডলের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, শ্যামনগর উপজেলা ১৯৭০ সালের নির্বাচন থেকে একটি পৃথক নির্বাচনী এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। ১৯৭৩ থেকে ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত শ্যামনগরের ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা-১০৯ তথা সাতক্ষীরা-৫ আসন বিদ্যমান ছিল। তবে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সাতক্ষীরার সংসদীয় আসন ৫ থেকে ৪-এ নামিয়ে আনা হয়। তখন শ্যামনগরের ১২ এবং কালিগঞ্জের ৮ ইউনিয়নসহ মোট ২০ ইউনিয়ন নিয়ে নির্বাচনী এলাকা-১০৮ তথা সাতক্ষীরা-৪ আসন গঠন করা হয়। ওই আসনে ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম, ২০১৮ সালের একাদশ এবং ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিএনপি নেতৃবৃন্দের দাবি, এর ফলে বৃহৎ উপজেলা শ্যামনগর উন্নয়ন ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে বঞ্চিত হয়েছে এবং প্রশাসনিক ক্ষেত্রেও স্থানীয় জনগণ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন আশাশুনি ও শ্যামনগরকে একত্রিত করে জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা-১০৭ তথা সাতক্ষীরা-৪ আসন পুনঃবিন্যাসের যে খসড়া গেজেট প্রকাশ করেছে, তা এ অঞ্চলের মানুষের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, একাধিক নদী দ্বারা বিভক্ত হওয়ায় আশাশুনী ও শ্যামনগরের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এখানকার মানুষ ইতিমধ্যেই দুর্ভোগে আছেন। এর সঙ্গে আশাশুনিকে যুক্ত করলে যোগাযোগব্যবস্থা আরও ব্যাহত হবে এবং প্রশাসনিক সেবা পেতে সাধারণ মানুষকে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হবে। এতে জনদুর্ভোগ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাবে। তাই পূর্বের ন্যায় সাতক্ষীরা-৪ আসন (শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ) বজায় রাখা জরুরি।
কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সদস্য শেখ এবাদুল ইসলামের স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব শেখ শফিকুল ইসলাম বাবু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমান, সাবেক তথ্য সম্পাদক এম হাফিজুর রহমান শিমুল, সাবেক ছাত্রদল নেতা শেখ শাহীন কবীর, এসএম রেদওয়ান ফেরদাউস রনি, বিএনপি নেতা শেখ আজাদ, হাসানুর রহমান, ইসমাঈল হোসেন এবং রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজ ছাত্রদলের সম্পাদিকা তোহা প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এসএস