সাতক্ষীরায় ফের বেড়েছে কাঁচা মরিচের ঝাঁজ। মাত্র সপ্তাহের ব্যবধানে সাতক্ষীরার পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে যার দাম ছিল ১৫০ টাকা কেজি। খুচরা বাজারে এই কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি। বর্ষার কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়িরা।
বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড়বাজারের পাইকারি সবজি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি। যা খুচরা বাজার বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি। অথচ গত সপ্তাহের বুধবারে পাইকারি বাজারে এই কাঁচামরিচের দাম ছিলি ১৫০ টাকা কেজি। খুচরা বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা কেজি।
এদিকে কাঁচামরিচের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম। পাইকারি বাজারে বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কাঁচাকলা ৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০ টাকা, টমেটো ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, ওল দেশি ৯৫ থেকে ১০০ টাকা, মাদ্রাজ ওল ৫৫ টকা, কচু ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, কচুরমুখি ৩০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, ঢেড়স ৬০ টাকা, পোল্লা ৩৫ টাকা, লাউ এক পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পুইশাক ৪০ টাকা কেজি, লাল শাক এক আটি ১২ থেকে ১৫ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, পটল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা ও ধনেপাতা ২৫০-৩০০ টাকা কেজি। তবে কমেছে খিরাই ও উচ্ছের দাম। পাইকারিতে ৬০ টাকার খিরাই বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। আর ৮০ টাকার উচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। তবে এসব প্রতিটি সবজি খুচরা বাজারে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
সাতক্ষীরা কাটিয়া কলেজ রোডের বাসিন্দা আব্দুস সালাম জানান, গত সপ্তাহে পাইকারি বাজার থেকে কাঁচাঝাল কিনেছিলাম ১৫০ টাকা কেজি। আজ এসে দেখি সেই একই কোয়ালিটির কাঁচাঝাল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি। বাজারে সবজির দামের উপর কারো কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। যে কারণে অজুহাত পেলেই ব্যবসায়িরা দাম বাড়িয়ে দেয়।
খুচরা সবজি বিক্রেতা আমির আলী জানান, খরচসহ এক কেজি কাঁচাঝাল ২০০ টাকার উপরে কেনা পড়ছে। এরপর ঝাল নষ্ট বের হয়। যে কারণে আমরা কেনা থেকে ২০/২৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করি। তবে বাজারের অনেকে এর চেয়ে বেশি দামেও বিক্রি করে থাকে।
সুলতানপুর বড়বাজারের পাইকারি সবজি বিক্রেতা তুহিন আলী জানান, বাজারে কাঁচামরিচের আমদানি কম। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের কারণে গাছ মরে গেছে। যে কারণে গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে আমাদের ১৯২ টাকার উপরে কাঁচামিরচ কেনা আসছে। তার পর খরচ আছে। এরপরও সামান্য লাভে আমরা মাল বিক্রি করি। বাজারে সরবরাহ না বাড়লে সামনে দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
সুলতানপুর বড়বাজারের কাঁচাপাকামাল ব্যবসায়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক রজব আলী জানান, টানা বর্ষার কারণে জেলার অধিকাংশ সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। যে কারণে বাজারে হঠাৎ করে কাঁচামরিচের সরবরাহ কমে গেছে। ফলে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে গেলে স্বাভাবিকভাবে বাজারে সেই পণ্যের দামও কিচুটা বেড়ে যায়। সরবরাহ কাড়লে দাম আবার কমে যাবে বলে জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/এনএম