আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে ২০০৮ সালের পূর্বের সীমানা বহাল রেখে আশাশুনি উপজেলাকে স্বতন্ত্র সংসদীয় আসন করার দাবিতে স্থানীয়রা মানববন্ধন করেছেন।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা–আশাশুনি সড়কের বুধহাটা বাজারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
আশাশুনি প্রেসক্লাবে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জিএম মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং বুধহাটা আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান ইকবাল মামুনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের সভাপতি আব্দুস সোবান, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যানার্জি, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর নুরুল আবসার মুরতাজা, জেলা জজকোর্টের এপিপি শহিদুল ইসলাম, আশাশুনি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস কে হাসান, বুধহাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, জামায়াত নেতা আবুল কালাম, বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম বকুল, সাংবাদিক ইয়াসিন আরাফাত ও বাবুল হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আশাশুনি ও শ্যামনগর দুটি উপজেলা ভৌগলিকভাবে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। আশাশুনি চারটি এবং শ্যামনগর তিনটি দ্বীপে বিভক্ত। এই দুটি উপজেলার মধ্যে সরাসরি কোনো সড়ক যোগাযোগ নেই। আশাশুনি থেকে শ্যামনগরে যেতে হলে কালীগঞ্জ হয়ে ঘুরে যেতে হয়, অন্যথায় নদী পার হতে হয়। নদীর ওপর কোনো সেতু না থাকায় এই দুই উপজেলাকে একই আসনে যুক্ত করা জনস্বার্থবিরোধী ও অযৌক্তিক।
বক্তারা আরও বলেন, ২০০৮ সালের আগে সাতক্ষীরায় পাঁচটি সংসদীয় আসন ছিল, যার মধ্যে আশাশুনি ছিল একটি স্বতন্ত্র আসন। পরবর্তীতে রাজনৈতিক স্বার্থে একটি আসন কেটে অন্য এলাকায় যুক্ত করা হয়েছে। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, জনগণের দাবি অগ্রাহ্য হলে আশাশুনির ভোটাররা ভোট বর্জন করতে বাধ্য হবেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন দেশের ৩৯টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের খসড়া প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরার দুটি আসনও রয়েছে। খসড়া অনুযায়ী, আশাশুনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন, শ্যামনগরের ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সঙ্গে যুক্ত করে নতুনভাবে সাতক্ষীরা–৪ আসন গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর আগে আশাশুনির ১১টি ইউনিয়ন, দেবহাটার ৫টি ইউনিয়ন এবং কালীগঞ্জের ৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ছিল সাতক্ষীরা–৩ আসন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা ভৌগলিক বাস্তবতা ও জনকল্যাণের স্বার্থে আশাশুনি উপজেলাকে পুনরায় স্বতন্ত্র সংসদীয় আসন ঘোষণা করার জোর দাবি জানান।
খুলনা গেজেট/এসএস