এক পদে দুইজনের নিয়োগ

সাতক্ষীরা ডিবি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

অফিস সহায়ক পদে জনবল থাকলেও আর্থিক সুবিধা নিয়ে একই পদে আরেকজন অফিস সহায়ক নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরা সদরের ডিবি ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রথম নিয়োগপ্রাপ্ত অফিস সহায়ক সালাউদ্দিন।

অভিযোগে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১৬ জুলাই ডি.বি.হাস্কুল/১৩/১২/নিঃ/প্রঃ নং স্মারকে একই সালের ৩০ জুন তারিখের রেজুলেশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এলএমএসএস পদে যোগদান করেন ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের বাঁধনডাঙ্গা গ্রামের মহম্মদ আলী সরদারের ছেলে মো. সালাউদ্দীন। নিয়োগের পর থেকে ৪র্থ শ্রেণির বেতনভাতা পেয়ে আসছিলেন। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১ তারিখ অনুযায়ী ৪র্থ শ্রেণির এম,এল,এস,এস পদকে অফিস সহায়ক, নিরাপত্তাকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, আয়া ও নৈশ প্রহরী ৫টি পদে সমন্বয় করা হয়। সালাউদ্দিন কে এম.এল,এস,এস পদ থেকে অফিস সহায়ক হিসাবে পদায়ন করা হয় এবং নৈশ প্রহরী পদ আগে থেকেই পূর্ণ ছিলো। ফলে ৩টি শূন্য পদে এমপিও নীতিমালা ২০২১ অনুযায়ী নিরাপত্তাকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আয়া পদে ৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু চতুর্থ শ্রেণির ৫টি পদই পূরণ থাকা পরও প্রধান শিক্ষক মো. মমিনুর রহমান ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারী দৈনিক কাফেলা পত্রিকায় অবৈধভাবে নবসৃষ্ট পদ তৈরি করে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ প্রদান করার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক জেয়ালা গ্রামের হানেফ আলীর ছেলে আমিনুর রহমানকে অবৈধ উৎকোচের মাধ্যমে ২৩-০৬-২০২২ তারিখে অতিরিক্ত অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ প্রদান করেন। নিয়োগ মোতাবেক আমিনুর রহমান ০২-০৭-২০২ তারিখে ধুলিহর ব্রহ্মরাজপুর সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক হিসাবে যোগদান করেন। বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির সকল পদে জনবল থাকা স্বর্তেও অফিস সহায়ক পদে অতিরিক্তি নিয়োগ দেওয়া সম্পূর্ণ অবৈধ।

তবে অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আর্থিক সুবিধা নিয়ে আমিনুর রহমানকে অতিরিক্ত নিয়োগ দিয়েছেন। যদিও ভুক্তভোগী সালাউদ্দিনের অভিযোগের ভিত্তিতে উপ-পরিচালকের কার্যালয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খুলনা অঞ্চল সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

এবিষয়ে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নারায়ন চন্দ্র মন্ডল জানান, সালাউদ্দিনের অভিযোগের বিষয়ে আগামী ২০ জুলাই তদন্তের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমানিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা করা হবে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন