যশোর শহরের ষষ্টিতলাপাড়ায় চিহ্নিত সন্ত্সীরা এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে। পরকীয়া সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে দাবি থানা পুলিশের। শনিবার (১২ জুলাই) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম আশরাফুল ইসলাম বিপুল (২৭)। তিনি শহরতলীর শেখহাটি জামরুলতলার আক্তার হোসেনের ছেলে এবং একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।
এ ঘটনায় জড়িতদের খোঁজে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত।
স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, আশরাফুল ইসলাম বিপুল অন্য একজনের স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করার ক্ষোভ থেকে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। ওই রাতে তাকে কৌশলে ডেকে এনে কূপিয়ে হত্যা করা হয়।
নিহতের বাবা আক্তার হোসেন বলেছেন, ৬ মাস আগে বিপুল ষষ্টিতলা এলাকার এক তরুণীকে বিয়ে করেন। এর আগে ওই মেয়ের বিয়ে হয়েছিল একই এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে বাপ্পির সাথে। পরবর্তীতে এ ঘটনা নিয়ে বিপুলকে বিভিন্ন সময়ে বাপ্পি হুমকি দিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। মোবাইল ফোনে হুমকির মেসেজ পাঠানো হতো বলে জানান বিপুলের বাবা। ঘটনার রাতে ষষ্টিতলা এলাকায় ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার দাবি।
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে যাওয়া কোতোয়ালি থানার এসআই আলমগীর হোসেন বলেছেন, রাত ৮টার পর ষষ্টিতলার মোস্তাকের বাড়ির পাশে সন্ত্রাসীরা বিপুলকে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বাপ্পি ও তার সহযোগীরা জড়িত বলে নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্র আরো জানায়, হত্যাকান্ডের সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে বিপুলকে হত্যা করা হয়। এ সময় একটি বোমার বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় বিপুলকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার মাহমুদুল হাসান তুষার জানিয়েছেন, রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে বিপুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার বুক, পেট, গলা, হাত ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের অসংখ্য আঘাত ছিল। রাত ৯ টা ৪০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এ ব্যাপারে যশোর কেতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবলু হাসনাত বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা শনাক্ত হয়েছে। পরকীয়ার জের ধরে এই হত্যা। জড়িতদের আটকে থানার একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। দ্রুতই তাদের আটক করা হবে।
খুলনা গেজেট/এইচ