শোক স্তব্ধ আর্জেন্টিনার সর্বস্তরের মানুষ ডিয়েগো ম্যারাডোনার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। কিংবদন্তির মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের জন্য আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ারসের গরভর্মেন্ট হাউজের সামনে রাখা হয়েছে। সেখানে হাজারো মানুষ ‘ফুটবল ঈশ্বর’র প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। ম্যারাডোনার কফিন আর্জেন্টিনার জাতীয় পতাকায় মোড়ানো হয়েছে এবং কফিনের ওপর বোকা জুনিয়র্সের ১০ নম্বর জার্সি রাখা হয়েছে।
দুই দফায় বোকা জুনিয়র্সে খেলা ম্যারাডোনার কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে এক ভক্তকে চিৎকার করতে শোনা গেছে, ‘টি আমো অর্থাৎ আমি তোমাকে ভালোবাসি ডিয়েগো।’ কেবল এই এক ভক্তই নয়, সেখানে শ্রদ্ধা জানাতে আসা হাজারো ভক্তের মুখে এই একই চিৎকার, ‘তোমাকে ভালোবাসি ডিয়েগো।’ এছাড়াও ভক্তরা তাঁর কফিনে ফুল দিচ্ছেন এবং জার্সি রেখে যাচ্ছেন শ্রদ্ধা স্বরূপ।
ম্যারাডোনার এমন বিদায়ের মাঝেও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথাও মাথায় রেখেছে আর্জেন্টিনা সরকার। তাই তো সকলকে দূরত্ব মেনে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ ইতোমধ্যেই দেশটিতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘তুমি আমাদের বিশ্বের সর্বোচ্চ চূড়ায় নিয়ে গিয়েছো। তুমি আমাদের আনন্দ দিয়েছো। তুমি সবার থেকে সেরা। ধন্যবাদ আমাদের দেশে জন্মগ্রহণ করার জন্য। তোমাকে আমরা আজীবন মনে রাখবো।’
ম্যারাডোনাকে একনজর দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল আর্জেন্টাইন সময় রাত ১টা ৩০ মিনিটে। প্রথমেই ম্যারাডোনাকে দেখে গেছেন প্রথম স্ত্রী ক্লদিয়া ভিয়াফোন ও দুই কন্যা দালমা ও জিয়ানিন্না।
কিছুক্ষণ পর ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যরা এসে শ্রদ্ধা জানিয়ে গেছেন। সকাল ৬টায় বিদায় জানাতে কাসা রোসাদার দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষ ম্যারাডোনার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বুয়েন্স আয়ারসে উপস্থিত হয়েছেন। ইতোমধ্যেই কয়েক লাখ মানুষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এই কিংবদন্তির প্রতি। আজ বুয়েন্স আয়ারসে ম্যারাডোনাকে সমাহিত করা হবে বলেও জানিয়েছে আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যমগুলো।
খুলনা গেজেট/এএমআর