সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ২৩ বাংলাভাষী নাগরিককে বাংলাদেশে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোর রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বসিরহাট মুহাকমার স্বরূপনগর থানার খলিশা ও সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়।
স্থানীয় একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, মঙ্গলবার ভোর রাত ৫টার দিকে ভারতীয় বিএসএফ কৈজুরী ক্যাম্পের জওয়ানরা ভারতের খলিশা ও সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ২৩ বাংলাভাষী নাগরিককে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়। পরে কুশখালী সীমান্তে টহলরত বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখান থেকে সকালে তাদেরকে বিজিবি সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার পর ভোরে কুশখালী সীমান্ত এলাকা থেকে ওই ২৩ বাংলাভাষী নাগরিককে আটক করে বিজিবি। পরে সকালে তাদেরকে সাতক্ষীরা শহরের অদূরে তালতলাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে পাঠানো হয়। আটককৃতদের মধ্যে ৭ জন পরুষ, ৭ জন নারী ও ৯ জন শিশু রয়েছে। বর্তমানে তারা বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে হেফাজতে রয়েছে। সেখানে তাদের নাম পরিচয় যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।
এদিকে এঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটেলিয়ানের আওতাধীন কুশখালি বিওপির একটি প্রতিনিধি দল ভারতীয় বিএসএফ কৈজুরী ক্যাম্পের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলছেন।
এবিষয়ে বিজিবি কুশখালী ক্যাম্পের সুবেদার রফিকুল ইসলাম বলেন, সীমান্ত দিয়ে ২৩জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার সাথে সাথে আমরা তাদেরকে আটক করি। প্রতিপক্ষ বিএসএফের সাথে কথা হয়েছে। বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এবিষয়ে বিস্তারিত পরে প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সকলকে জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ মে সাতক্ষীরা সুন্দরবনের মধ্যে নদীপথ দিয়ে তিন ভারতীয় নাগরিকসহ ৭৮জনকে পুশ-ইন করে বিএসএফ। তাদেরকে সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধিনগহীন সুন্দরবনের মান্দারবাড়ীয়া চর এলাকায় নদী পথ দিয়ে বাংলাদেশে পুশ-ইন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পরে পরিচয় যাচাই বাছাই শেষে স্ব-স্ব পরিবারের সদস্যদের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম/এএজে