বন বিভাগের পশ্চিম সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া টহলফাঁড়ি এলাকায় শুক্রবার (৯ মে) আশ্রয় নেয়া ৭৮ নারী -পুরুষের এখনও পর্যন্ত পরিচয় মেলেনি। তবে আশ্রিত এসব মানুষের অধিকাংশ বাংলাদেশের বরিশাল, নড়াইল ও খুলনা এলাকার বলে প্রাথমিক তথ্য মিলেছে।
খবর পেয়ে পশ্চিম বনবিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মশিউর রহমানসহ কোস্টগার্ড মংলা রেঞ্জের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছেছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে তথ্য মিলেছে মোট তিন দফায় এসব বাংলাদেশীকে বিএসএফ ও কোস্টগার্ড বাংলাদেশ সীমান্তের সাগরের চরে ফেলে যায়। পরবর্তীতে তারা পায়ে হেঁটে নিরাপদ আশ্রয় খোঁজে মান্দারবাড়িয়া টহল ফাঁড়িতে গিয়ে পৌছে।
মান্দারবাড়িয়া টহল ফাঁড়ির ওসি মোবারক হোসেন জানান, তার ফাঁড়িতে তিন দফায় মোট ৭৮ জন মানুষ আশ্রয় নেয়। শুরুতে ৩২ জন এলেও পরবর্তীতে আরও দুই দফায় ৪৬জন মানুষ পায়ে হেঁটে তার ফাঁড়িতে এসে পৌছে।
তিনি আরও জানান, বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সহকারী বন সংরক্ষকসহ উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়।
এদিকে সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের বুড়িগোয়ালীনির স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জানান, বঙ্গপোসাগরে সে সময় ভাটা চলছিল। এই সুযোগ নিয়ে বিএসএফ ও ভারতীয় কোস্টগার্ডের সদস্যরা একাধিক ভেসেল ও স্পিবোটযোগে পর্যায়ক্রমে ৭৮ জন মানুষকে সাগরের চরে নামিয়ে দিয়ে যায়। একপর্যায়ে তারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মান্দারবাড়িয়ায় পৌছায়।
তিনি আরও জানান, শনিবার দুপুরের দিকে একবার মাত্র যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়। সেসময় পর্যন্ত কারও নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ৭৮ জনের বেশিরভাগ খুলনা, নড়াইল এবং বরিশালের বলে তাদের সহকর্মীর মাধ্যমে জানা যায়।
বনবিভাগের এ কর্মকর্তা আরও জানান এসিএফ মশিউর রহমান সকালে মান্দারবাড়িয়া পৌছেছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত তার মাধ্যমে কোন খবর তারা পাননি।
তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনী খাতুনের মাধ্যমে কিছু শুকনা খাবার হিসেবে চিড়া, চিনি, বিস্কুট ছাড়াও পানি চাল ও ডাল তেলসহ নানান উপকরনাদী পাঠানো হয়েছে। সেখানে অবস্থানরতদের নামপরিচয় সনাক্তসহ সেখানে ফেলে যাওয়ার কারণ জানতে পারলে বিষয়টি পরিস্কার হবে বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।
খুলনা গেজেট/এমএম