নড়াইলের ১৩ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রেমিক মুজিবুল ইসলামকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছে যশোরের আদালত। রোববার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক গোলাম কবির এ আদেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ লতা। সাজাপ্রাপ্ত মুজিবুল ইসলাম যশোর সদর উপজেলার চাঁদপাড়ার নাইম মসজিদ এলাকার মোশারফ হোসাইনের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত শিশুর দুলাভাই চাঁদপাড়া নাঈম মসজিদের ইমামতি করতেন। দুলাভাইয়ের বাসায় যাতায়াতের সুবাদে জয়নবের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে আসামি মুজিবুল ইসলামের। ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর জয়নব তার গ্রামের বাড়ি নড়াইলের মির্জাপুর থেকে নিখোঁজ হয়। এ সংবাদ জানতে পেরে শিশুটির দুলাভাই মুজিবুলের সংবাদ নিয়ে জানতে পারেন সে মাদ্রাসা ও বাড়িতে নেই। অনেক খোঁজাখুজি করে তাকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয় স্বজনেরা।
৪ নভেম্বর দুপুরে পুলিশ বাঘারপাড়ার ভাংগুড়া মাঠের একটি ঘের থেকে জয়নবের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহত শিশুর পিতা জিয়াউর শেখ বাদী হয়ে মুজিবুল ইসলামকে আসামি করে বাঘারপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
এ মামলার তদন্ত শেষে আসামি মুজিবুলকে অভিযুক্ত করে শিশু জয়নাবকে ফুসলিয়ে এনে ধর্ষণ ও হত্যা করায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নবুয়াত হোসেন।
এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহন শেষে আসামি মুজিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামির উপস্থিতিতে তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, একলাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন।