ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে যশোর ঈদগাহ ময়দানে ইসলামী আন্দোলন যশোর জেলা শাখার উদ্যোগে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা সভাপতি মিয়া মুহাম্মদ আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেজাউল করিম বলেন, ইসলামের মহান আদর্শ ছাড়া কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করা কখনোই সম্ভব নয়। দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে দুর্নীতি, দুঃশাসন ও লুটপাট বন্ধ করে ইসলামের ন্যায়ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে হবে।তিনি বলেন, শুধু নেতার পরিবর্তন করলেই হবে না, দেশের প্রকৃত কল্যাণের জন্য নীতির সংস্কার প্রয়োজন।
তিনি ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল ফিলিস্তিনে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। হাজার হাজার নারী, শিশু, সাংবাদিক, সাধারণ মানুষ নির্মমভাবে শহীদ হচ্ছেন। গাজা প্রদেশকে একটি খোলা জেলখানায় পরিণত করেছে। মুসলমানদের প্রথম কিবলা বায়তুল মুকাদ্দাসকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এটি মুসলমানদের কাছে ফিরিয়ে আনতেই হবে।
তিনি সকল ইসলামী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের প্রতীক “হাতপাখা” কে বিজয়ী করতে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের নায়েবে আমির হযরত মাওলানা হাফেজ আব্দুল আউয়াল বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পরও ষড়যন্ত্র থেমে নেই। ইসলামী আন্দোলনের সকল নেতাকর্মীকে অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রস্তুত থাকতে হবে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) মাওলানা শোয়াইব হোসেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডীন প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ ফারুক আহমাদ, ইসলামী আইনজীবী পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নূর ইসলাম নুরুল, লেখক ও কলামিস্ট অধ্যক্ষ নাজমুল হুদা, আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় জয়েন্ট সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট বায়েজিদ হুসাইন প্রমুখ।বক্তারা জুলাই মাসে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার ও গত ১৬ বছরের গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। একই সাথে দুর্নীতিবাজদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রের কোষাগারে জমা দেওয়ার দাবি জানান।