খুলনা, বাংলাদেশ | ১৯ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ৪ মার্চ, ২০২৫

Breaking News

  ভারতের বিভিন্ন কারাগারে এক হাজার ৬৭ জন বাংলাদেশির নাম পাওয়া গেছে, সেখানে গুমের শিকার কেউ আছে কিনা অনুসন্ধান চলছে : গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন
  তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের অর্থপাচার মামলার রায় ৬ মার্চ : আপিল বিভাগ

রামপালে ২৫ টাকার বেগুন সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়ে ৬০

রামপাল প্রতিনিধি

রামপালে বাজারগুলোতে রোজার আগুন লেগেছে। বিশেষ করে ইফতারি সামগ্রী দাম বেড়েছে দুই থেকে তিন-চারগুণ। ইফতারের অন্যতম চাহিদায় রয়েছে বেগুনি, শসা ও লেবু। চাহিদা বিবেচনায় এই তিনটি পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এ পণ্য। মঙ্গলবার ফয়লা বাজার,ও ভাগাবাজার বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য মিলেছে।

প্রকার ভেদে বেগুন কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগেও ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হত। শসা কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকায়। লেবুর হালি ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৬০ টাকায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

গিলেতলা বাজার, গৌরম্ভা বাজার, ভরসাপুর বাজার ঘুরে জানা যায়, ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি ২০০ থেকে ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি কেজি প্রতি ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা, লেয়ার ৩২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

ফয়লা বাজারের এক বিক্রেতার কাছে বাড়তি দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খামার থেকে মুরগি কম সরবরাহ হওয়ার কারণে এখন দাম একটু বাড়তি। তবে রমজানে মুরগির দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে থাকবে।

নতুন বাজারের আমেনা ট্রেডার্স এর বিক্রেতা জানান, দু’ দিনের ব্যবধানে আড়তে পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। সরবরাহ আগের মত রয়েছে। বাজারে চাহিদা থাকার কারণে আড়ৎদাররা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা সাধারণ ক্রেতার কাছে জবাবদিহিতার শিক্ষার হচ্ছি।

নিশাত সুলতানা সাথী নামে এক ক্রেতা জানান, এ বছর রমজানে বাজার স্বাভাবিক থাকবে ভাবছিলাম কিন্তু চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে দামও বেড়ে যাচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, গরুর মাংস ৭০০ টাকা দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছিল। কিন্তু দাম কমানোর থেকে আরও ৫০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। সে কারণে মুরগিও বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে।

বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকারের কোন বাজার মনিটরিং নেই, সাধারণ ক্রেতাদের দ্রব্যমূল্য ক্রয়ে নাভির শ্বাস উঠে যাচ্ছে। ক্রেতাদের মতামত নিয়ে জানা গেছে, অতি দ্রুত যাতে বাজার নিয়ন্ত্রণে আসে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!