যশোর জেলা বিএনপির ১৪ বছরের প্রতিক্ষিত সম্মেলন শুরু হয়েছে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টায় ঈদগাহ ময়দানে দলীয় পতাকা উত্তেলনের মধ্য দিয়ে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান। এরপর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কেন্দ্রীয় নেতা মফিকুল হাসান তৃপ্তি, ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ূবসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন।
সম্মেলনের শুরুতে শহীদ ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপি নেতাদের স্মরণ এবং তাদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়। এরপর সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড, সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু।
প্রথম অধিবেশন শেষে এদিন দুপুর ২ টায় থেকে ৫ টা পর্যন্ত আলমগীর সিদ্দিকী মিলনায়তনে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে কোন প্রার্থী না থাকায় যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এরপর কারা আসছেন জেলা বিএনপির নতুন নেতৃত্বে তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে যশোরবাসী।
উল্লেখ্য, গত ২০১০ সালে জেলা বিএনপির সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর গঠিত কমিটি সম্মেলন করতে না পারায় ২০১৯ সালে অধ্যাপক নার্গিস বেগমকে আহবায়ক করে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির উদ্যোগে ৫ বছর পর শনিবার এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এবারের সম্মেলনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন দলের সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও যশোর চেম্বারের সভাপতি মিজানুর রহমান খান এবং যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম মারুফ। সাংগঠনিক সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদ্য বিদায়ী কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, যশোর সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আজম ও সাবেক ছাত্রনেতা শহিদুল বারী রবু।
বিএনপি নেতাকর্মীদের মতে, সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক দুটি পদেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তবে তাদের আশাবাদ দলের ত্যাগী ও যোগ্য নেতারাই জয়ী হবেন।
খুলনা গেজেট/এনএম