স্বল্প সময়ে অধিক দূরত্বে যাওয়ার সহজ মাধ্যম হল রেল ব্যবস্থা। ঢাকায় যেতে এখন আর বেশী সময় লাগেনা। অধিক কুয়াশা এবং ঘন বৃষ্টির কারণে এখন ঘন্টার পর ঘন্টা নদীর ঘাটে অপেক্ষা করতে হয়না। নেই যানজটের ঝামেলা। পদ্মা সেতু পার হয়ে ট্রেনে সাড়ে ৩ ঘন্টার ভ্রমনে ঢাকায় পৌঁছে যাচ্ছে মানুষ। দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে যোগাযোগের এ মাধ্যম। তবে সাধারণ যাত্রীরা ঢাকাগামি ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি ও সময় সূচি পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন।
গেল বছরের ২৪ ডিসেম্বর ১১ টা বগিতে ৫৫৩ জন যাত্রী নিয়ে খুলনা থেকে জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনের প্রথম যাত্রা শুরু হয়। ঢাকা ভ্রমণে বাসের তুলনায় আরামদায়ক হওয়ায় মানুষ এখন ট্রেন মুখী হয়েছে। টিকিট ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনলাইনে বিক্রি শেষ হয়ে যায়। এ জন্য সাময়িক ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ যাত্রীদের।
খুলনা রেল স্টেশনে কথা হয় দর্শনার জাহেদের সাথে। তিনি খুলনা গেজেটকে বলেন, কাজের কারণে তাকে খুলনায় থাকতে হয়।কোন কাজ থাকলে জাহানাবাদ ট্রেনের মাধ্যমে ঢাকায় যায়। ট্রেনে এখন ঢাকা যাওয়া খুব সহজ হয়ে গেছে। পৌনে ৪ ঘন্টায় এখন ঢাকায় যাওয়া যায়। ৬ টি স্টেশনে থামে ট্রেনটি। প্রতি ষ্টেশনে ট্রেনটি ৩ মিনিট করে অবস্থান করে। ৪৪৫ টাকা ভাড়া যা বাসের তুলনায় অনেক কম। এভাবে ট্রেন যাত্রা তার কাছে সুবিধাজনক মনে হয়। তিনি বলেন, ট্রেন একটা হয়েছে। আরও একটি হলে খুলনাবাসির জন্য সুবিধা হত বলে তিনি মনে করেন।
শরিফুল ইসলাম নামের যাত্রী খুলনা গেজেটকে বলেন, ভোর ৬টায় ট্রেনটি ছেড়ে সকাল ১০টার মধ্যে ঢাকা পৌঁছানো যাচ্ছে। আবার রাতেই খুলনা আসা যাচ্ছে। দিনের দিন খুলনা থেকে ঢাকা ঘুরে আসা যাচ্ছে। এটাতে আমাদের জন্য খুবই উপকার হচ্ছে। তবে এই রুটে ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়ালে খুবই ভালো হয়। আমাদের দাবি দ্রুত খুলনা-ঢাকার নতুন এই রুটে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হোক।
অপর যাত্রী রফিক খুলনা গেজেটকে বলেন, জাহানবাদ ট্রেনটি সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যায়। আর রাতে খুলনায় ফিরে আসে। এর মাঝে আরও একটি বা দু’টি হলে ভালই হত। বাস থেকে ঝামেলা কম। তাছাড়া পদ্মা নদীর বুক চিরে যাত্রীদের খুব দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যায় বলে খুলনা গেজেটের এ প্রতিবেদককে জানান তিনি।
অপর যাত্রী অনিক বলেন, ট্রেনটি ছাড়ার সময় বাড়িয়ে দিলে সবার জন্য ভালই হতো। কারণ হিসেবে তিনি খুলনা গেজেটকে আরও বলেন, যে সময়ে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় সে সময়ে শহরে লোকাল যানবাহনের উপস্থিতি একেবারে কম থাকে। তাই সময়টি বাড়িয়ে দিলে খুলনা বা আশপাশের এলাকার মানুষের উপকার হতো বলে তিনি আরও জানান।
যাত্রী রাব্বানি খুলনা গেজেটকে বলেন, জাহানাবাদ ট্রেনটি খুলনাবাসীর জন্য আর্শীবাদ স্বরুপ। তিনি আরও বলেন, রাজধানী ঢাকায় যেতে খুলনা থেকে ৮/৯ ঘন্টা সময় লাগত এখন সেখানে পৌনে ৪ ঘন্টায় পৌছানে সম্ভব।
খুলনা গেজেট/এমএম