সাতক্ষীরায় আদালতের নির্দেশে দীর্ঘ ৩ মাস ১২ দিন পর তালার আটারই গ্রামের কবর থেকে কাদের মোড়ল(৭৫) নামে এক ব্যক্তির লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আটারই গ্রামে পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়।
কাদের মোড়ল সাতক্ষীরা তালা উপজেলার আটারই গ্রামের মৃত.মোছা মোড়লের ছেলে ।
মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের সময় তালার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল-আমিন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (তালা সার্কেল) মো. হাসানুর রহমান এবং তালা থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ শাহিনুর রহমান সহ পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, জমিজমা সংক্রান্ত জেরে গত ৬ আগষ্ট ভোর ৬টায় প্রতিপক্ষের হামলায় ঘটনাস্থলে নিহত হন কাদের মোড়ল। দেশের পট পরিবর্তন হওয়ার সেদিন মামলা হয়নি এবং একই দিন পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। মৃত্যুর ৮ দিন পর ১৪ আগস্ট নিহতের ছেলে মো. আব্দুল হালিম মোড়ল (৩৮) বাদি হয়ে তালা থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন, আটারই গ্রামের মৃত রহিম মোড়ল ওরফে নরিমের ছেলে আশরাফ মোড়ল (৫৯), জাকিরুল মোড়ল (৩৮), জাকাম মোড়ল (৫২), আশরাফ মোড়লের ছেলে সোহাগ মোড়ল (২২), জাকাম মোড়লের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার স্বপ্না (৪২) ও মোকাম আলী গাজীর ছেলে আলাউদ্দীন গাজী(৪৫)।
এব্যাপারে নিহতের ছেলে মো. আব্দুল হালিম মোড়ল বলেন, দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ওদের সাথে আমাদের বিরোধ চলছে। ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতের অবনতি দেখে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক আমার পিতাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। তবে এ বিষয়ে স্থানীয়রা সত্যতা জানলেও কেউ মুখ খুলতে রাজি হয়নি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল-আমিন বলেন, যে সময় ঘটনাটা ঘটেছে সে সময় বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফন করা হয়েছিলো। সত্যটা জানার জন্য আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম তাদের মধ্যে পারিবারিক জমিজমা সংক্রান্ত কলহ ছিলো। ময়নাতদন্তের পর আমরা হত্যার বিষয়ে সঠিকটা জানতে পারবো।
খুলনা গেজেট/এএজে