সাতক্ষীরা সদরের বাঁশতলা গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক অরবিন্দু মন্ডলকে(৮০) মারপিট করে হাত-পা বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছে ছেলে বিশ্বনাথ মন্ডল ও পুত্রবধু কবিতা মন্ডলের বিরুদ্ধে।
এদিকে, অবসরপ্রাপ্ত ওই স্কুল শিক্ষকের শারীরিক নির্যাতনের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে।
স্থানীয়দের সূত্র মতে প্রায়শ ছেলে ও পুত্রবধূর হাতে একই রকম নির্যাতনের শিকার হয় অরবিন্দ মন্ডল। প্রতিবেশীরা কেউবা ইচ্ছাকৃত আবার কেউবা ভয়ের কারনে এঘটনার প্রতিবাদ করতে পারেনি।
তবে সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে স্থানীয় এক যুবক অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধ স্কুল শিক্ষক কে নির্যাতনের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করলে ঘটনাটি নজরে আসে প্রশাসনের। তাৎক্ষণিকভাবে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযুক্ত বিশ্বনাথ মন্ডল ও কবিতা মন্ডলকে গ্রেপ্তারের জন্য ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় নির্যাতনকারী ছেলে ও তার স্ত্রী।
নির্যাতনের স্বীকার অরবিন্দ মন্ডলের মেয়ে জানান, তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক অরবিন্দু মন্ডলের গচ্ছিত কিছু টাকা হারিয়ে যায়। যে টাকা তার ভাইয়ের স্ত্রী কবিতা মন্ডল নেয়। বিষয়টা জানাজানি হলে অরবিন্দু মন্ডল টাকা ফেরত চাইলে প্রায়শ তারা দুজন নির্যাতন চালাতো।
প্রতিবেশী এক যুবক নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করায় বিষয়টি জানাজানি হয়েছে এবং প্রমাণ মিলেছে। তার বাবার নির্যাতনকারী আইনের আওতায় আসুক এমনটি দাবি জানিয়েছেন তিনি।
অবসরপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষক অরবিন্দু মন্ডল বলেন, পুত্রবধূর সঙ্গে পাশের একজনের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি এর প্রতিবাদ করেন। এছাড়া তার ৫০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়েছে পুত্রবধূ কবিতা। টাকা ফেরৎ চাইলে তাকে বেঁধে মারপিট করা হয়।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম বলেন, সমাজের একটা নিষ্ঠুর চিত্র এটি। ভিডিওটা দেখার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছিল। তবে ওই ছেলে ও তার স্ত্রী পালিয়েছে। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এএজে