সাতক্ষীরার কলারোয়ায় অবিবাহিত এক প্রতিবন্ধী যুবতীকে অবৈধ গর্ভপাত করানোর অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী যুবতীর মা বাদী হয়ে সোমবার (৯ আগষ্ট) এই মামলা দায়ের করেন। এই অনৈতিক কাজের সহযোগিতা করার অভিযোগে পুলিশ রাতে শারমিন খাতুন নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করে।গ্রেপ্তারকৃত শারমিন খাতুন (২৫) সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের সিদ্দিক খানের ছেলে জসিম উদ্দীনের স্ত্রী।
মামলা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের সিদ্দিক খানের ছেলে জসিম উদ্দীন (২৭) ও একই গ্রামের মোস্তাজুল ইসলামের ছেলে ইমন (১৯) মানসিক প্রতিবন্ধী এক যুবতী (১৯)কে ফুসলিয়ে বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে তার সাথে একাধিকবার দৈহিক মেলামেশা করে। একপর্যায় ওই যুবতী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। পরে জসিম উদ্দীন ও তার স্ত্রী শারমিন খাতুন এবং ইমন কৌশলে ওই যুবতীকে কলারোয়া উপজেলা সদরের সততা ক্লিনিকে নিয়ে অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটায়। সোমবার সকালে ওই যুবতী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। এদিকে ঘটনাটি জানতে পেরে প্রতিবন্ধী যুবতীর মা বাদী হয়ে সোমবার কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় জসিম উদ্দীন ও তার স্ত্রী শারমিন খাতুন এবং ইমনকে আসামী করা হয়। মামলার আসামিরা সম্পর্কে নির্যাতনের শিকার প্রতিবন্ধী যুবতীর আত্মীয়।
নির্যাতিতার মা জানান, আসামি জসিম উদ্দীন তার নিজের পুরাতন ঘর ভেঙ্গে নতুন ঘর তৈরির সময়ে আমাদের ঘরে দীর্ঘ ৯মাস অবস্থান করে। অপর আসামি ইমনের সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক থাকায় সেও আমাদের বাড়িতে যাতায়াত করতো। এসময় তারা আমার মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ফুসলিয়ে তার সাথে দৈহিক মেলামেশা করে। একপর্যায় সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আমার মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়ের শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে ঘটনাটি খুলে বলে। তার গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি জসিম ও ইমনকে জানালে তারা দু’জন সত্যতা স্বীকার করলেও ঘটনাটি কাউকে না জানানো জন্য ভয়ভীতি দেখায়। পরবর্তীতে তারা আমার অগোচরে মেয়েকে কলারোয়ায় নিয়ে একটি ক্লিনিক থেকে গর্ভপাত ঘটায়।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর খায়রুল কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার সন্ধ্যার দিকে মামলার ১নং আসামি জসিম উদ্দীনের স্ত্রী শারমিন খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার শারমিনও প্রতিবন্ধী যুবতীর মা’এর দায়ের করা মামলার এজাহারভূক্ত আসামি। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/কেএম