খুলনায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় বিএনপি-জামায়াত ও অঙ্গ-সংগঠনের ১২৬ নেতাকর্মী খালাস পেয়েছেন। রোববার (৩ নভেম্বর) দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক রাকিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী গোলাম মওলা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৩ ডিসেম্বর খুলনার আযম খান কমার্স কলেজ মূল কেন্দ্র এবং সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় উপকেন্দ্র ২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ছাত্রলীগ, ছাত্রদলসহ কয়েকটি ছাত্র সংগঠন আযম খান কমার্স কলেজ অভ্যন্তরে স্ব স্ব ব্যানারে অবস্থান নিয়ে মিছিল করার চেষ্টা করে। পরীক্ষা কেন্দ্রের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে পুলিশ বাঁধা প্রদান করলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সন্ধ্যানী ক্লিনিকের সামনে চলে যায়। অন্যদিকে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা পাইওনিয়র গার্লস কলেজ মোড়ে পুলিশের বাধার প্রতিবাদে সংক্ষিপ্ত পথসভায় উস্কানীমূলক বক্তব্য দিতে থাকে। পরীক্ষা শেষে পূনরায় মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধায় ছাত্রদল নেতাকর্মীরা চলে যায়। পরে পিটিআই মোড়ে যুবদল, ছাত্রদল, শিবির, বিএনপি, জামায়াত ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল, লাঠিসোঠা, অস্ত্র নিয়ে মিছিল বের করে। এসময় পুলিশের উপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে তারা। এসময় পুলিশ দুই রাউন্ড গুলি ফায়ার করে। এ ঘটনায় ওই দিন খুলনা সদর থানার এসআই পুষ্পেন দেবনাথ বাদী হয়ে তৎকালীন সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জান অপু, বিএনপি নেতা শেখ সাদী, রবিউল ইসলাম রুবেল, শেখ রিয়াজ সাহেদসহ ১০৪ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ২০০/৩০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।
এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ১৮ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মানস রঞ্জন দাস আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। এ ঘটনার প্রায় ১৩ বছর পর আজ মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।
আসামীপক্ষের আইনজীবী গোলাম মওলা বলেন, মিথ্যা ও ষড়ন্ত্রমূলক মামলার প্রায় ১৩ বছর পর রায় ঘোষণা করা হয়েছে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ এ মামলায় ১২৬ জন নেতাকর্মী খালাস পেয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এমএম