খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ পৌষ, ১৪৩১ | ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকারে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫, আহত ১০
  মাদারীপুরের কালকিনিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলছে, ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

নবম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে যুবক আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় নবম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে দোকানের গুদাম ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে স্থানীয় জনতা কসমেটিকস বিক্রেতা এক যুবক আটক করে পুলিশে দিয়েছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর ) বিকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

আটককৃত যুবকের নাম মো. নাঈম ইসলাম (২৩)। সে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাদড়া গ্রামের আব্দুস সবুরের ছেলে ও বাঁশদহা বাজারের নাঈম কসমেটিকস সেন্টারের স্বত্বাধিকারী।

স্কুল ছাত্রীর পিতা সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের এক দরিদ্র ইজিবাইক চালক জানান, তার মেয়ে স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিদ্যালয় ছুটি হওয়ার পর তার মেয়ে একটি ব্যাগ কেনার জন্য বাঁশদহা বাজারের নাঈম কসমেটিকস সেন্টারে যায়। দোকানদার নাঈম পছন্দের ব্যাগ গুদামে আছে বলে তাকে ডেকে সেখানে নিয়ে যায়। বিকাল তিনটার দিকে গুদামঘরের শার্টারের দরজা খুলে ভিতরে ঢোকা মাত্রই ভিতর থেকে শার্টারের দরজা লাগিয়ে দেয় নাঈম। একপর্যায়ে মেয়েটির মুখ চেপে ধরে মাটিতে ফেলে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় সে। ঘণ্টাব্যাপি ধস্তা ধ্বস্তির একপর্যায়ে মেয়েটিকে ভিতরে রেখে বাইরে এসে শার্টারের দরজা লাগিয়ে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলে আসে নাঈম।
এ সময় মেয়েটির চিৎকারে পার্শ্ববর্তী এক ব্যবসায়ি বাজার কমিটি ও মেয়েটির চাচাকে জানায়। মেয়ের চাচা আরো এক ঘণ্টা পরে খবর পেয়ে নাঈম এর কাছ থেকে চাবি এনে গুদামঘরের সাটারের তালা খুলে ফেলে।
একপর্যায়ে তিনি (বাবা) ৯৯৯ এ ফোন করলে রাত ৮টার দিকে পুলিশ ওই ভিকটিমকে উদ্ধার ও নাঈমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিম স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নাঈম ইসলামের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে সাতক্ষীরা জ্যৈষ্ঠ বিচারিক হাকিম নয়ন বড়ালের কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দী প্রদান শেষ মেয়েটিকে তার বাবার জিম্মায় দেয়া হয়েছে। আসামি নাঈম ইসলামকে বিকালে আদালতে মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!