সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাড. আব্দুল লতিফের সদস্য পদ সাময়িক স্থগিত করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি। রবিবার সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. শাহ্ আলম। সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. তোজাম্মেল হোসেন তোজামের সঞ্চালনায় সভায় সমিতির সদস্য এ্যাড. আব্দুল লতিফ(পি.পি) এর একাডেমিক সনদপত্র বিতর্কিত, অসদাচরন ও সমিতির শৃঙ্খলা এবং অবমাননা নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় সম্প্রতি কয়েকজন আইনজীবী এ্যাড. আব্দুল লতিফ এর একাডেমিক সার্টিফিকেট জাল, তিনি অসাধু উপায়ে অতিঃপিপি, এপিপি এবং এজিপি নিয়োগের নামে বিপুল অংকের টাকা গ্রহণ করেন মর্মে অভিযোগ করেন। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা আইনজীবী সমিতির বিরোধ নিস্পত্তি কমিটি তাকে নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু তিনি নোটিশ প্রাপ্তির পর নোটিশের অবজ্ঞাসহ একাডেমিক সনদ, চাকুরী সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখাতে অস্বীকার করেন। কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সকল কাগজপত্র সমিতি বরাবর জমা দেওয়ার জন্য তাকে ৭দিনের সময় দিয়ে অনুরোধ করেন এবং তাকে সমিতির অবমাননার জন্য কারন দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ করেন। তিনি সকল বিষয়ে অবজ্ঞা প্রদর্শন করায় নির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত আলোচকগণ এ্যাড. আব্দুল লতিফ (পিপি) এর বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। সে অনুযায়ী তার সমিতির সদস্যপদ স্থগিতসহ সমিতির সকল আর্থিক সুযোগ সুবিধা বন্ধ করতে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এছাড়া তার আইনজীবীর সনদ বাতিলের জন্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে প্রেরণ করার সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহিত এবং সভার রেজুলেশনের কপি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রপ্রতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. শাহ্ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফ এর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য তাকে আমরা সুযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি সেই সুযোগ গ্রহণ না করে উল্টে সমিতিকে অবমাননা করেছেন। কাজেই গঠনতন্ত্র মোতাবেক তার সদস্যপদ স্থগিতসহ সমিতির সকল আর্থিক সুযোগ সুবিধা বন্ধ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেএম