জীবনে চলার পথে অনেক সময় নানা অনাকাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত আসে। হুট করে ঘটে যায় এমন ঘটনা, যা আমাদের কল্পনার বাইরে। বলা হয়, বিপদ কখনো একা আসে না। যখন আসে, দলবল নিয়ে আসে। যেমন পরিবারের কোনো সদস্য হঠাৎ হয়তো অসুস্থ হয়ে পড়েছে, দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিতে হবে। তাকে গাড়িতে তোলার পর হয়তো দেখা গেল কিছুতেই চালু হচ্ছে না গাড়ি। বিকল্প ব্যবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর দেখা গেল পকেটে মানিব্যাগটাই নেই। এ রকম বিপদের ওপর আরও বিপদে অনেকেই পড়েন। কিন্তু কেন এমনটা হয় ভেবেছেন কখনো। কী করবেন এমন সময়ে?
‘বিপদে মাথা ঠাণ্ডা রাখুন’ কথাটি বলা যত সহজ, প্রকৃত বিপদে মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজ করা ততটা সহজ নয়। তবে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে বিপদ কাটিয়ে উঠতে এবং পরবর্তী বাড়তি বিপদের ঝুঁকি অনেকাংশেই এড়ানো যায়:
সময় নিন
বিপদে পড়লে ঘনঘন শ্বাস না নিয়ে, বড় করে ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে হবে। তাড়াহুড়া করে কথা বলা যাবে না। কয়েক সেকেন্ড সময় নিয়ে কথা বলতে হবে। মুখের কথা ও শব্দচয়ন বিপদের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। অপ্রয়োজনীয় চিৎকার, হইচই বা ছোটাছুটি করে অতিরিক্ত শক্তি-ক্ষয় করা যাবে না। কিছুটা সময় নিয়ে বিপদের ধরণ বা মাত্রা বুঝতে হবে।
অপ্রয়োজনীয় কৌতূহল নয়
অহেতুক কৌতূহল বর্জন করা উচিত। হয়তো একটি বিপদের ঘটনা ঘটেছে, নিছক মজা দেখতে গিয়ে নিজেও ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। প্রয়োজনে অন্যের সাহায্য চেতে হবে। ফোন করে, চিৎকার করে বা দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাহায্য প্রার্থনা করা যেতে পারে, তবে মনে রাখতে হবে, অপ্রয়োজনীয় চেঁচামেচিতে যেন শক্তি-ক্ষয় না হয়।
সতর্ক থাকুন
জরুরি ফোন নম্বর, পরিবারের নাম–ঠিকানা, ফোন নম্বর কাগজে লিখে মানিব্যাগে রাখতে পারলে ভালো। আত্মশক্তি বজায় রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে বিপদে হতাশ হলে বিপদ আরও বাড়বে।
তৈরি থাকুন
বিপদে ‘মিনিমালিস্ট’ হন। অপ্রয়োজনীয় বোঝা, জামাকাপড় ইত্যাদি নিয়ে ছোটাছুটি না করাই ভালো। বিপদের ধরণ বুঝে মূল্যবান সামগ্রীর মায়া ত্যাগ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। যেমন ভূমিকম্প বা অগ্নিকাণ্ডের সময় টাকাপয়সা বা মূল্যবান ধনসম্পদের কথা না ভেবে আগে নিজেকে নিরাপদ করা জরুরি। প্রাথমিক চিকিৎসার সাধারণ তথ্য মাথায় রাখুন।
খুলনা গেজেট/এএজে