সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ৫টি বাড়ি। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।
শনিবার (১৩ জুলাই) বিকালে উপজেলার গদাইপুর জেহের আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহনেওয়াজ ডালিমের সমর্থক তুহিন (৪০), মেহেদী (১৭), হজরত (২২), রেহেনা (৪০), ইউসুফ ( ৩৫), আনারুল (৩৮) এবং আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী অহিদুল ইসলাম মোল্লার সমর্থক খোকন (৫০), বাপ্পি (৪২)সহ মোট ১০ জন।
আহতদের মধ্যে তুহিন ও মেহেদীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগামী ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য খাজরা ইউনিয়নের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী এস এম শাহনেওয়াজ ডালিমের বাড়ির সামনে মিছিল সহকারে এসে গালিগালাজ করতে থাকেন প্রতিপক্ষ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আনারস প্রতীকের প্রার্থী অহিদুল ইসলাম মোল্লার সমর্থকরা। এক পর্যায়ে দুইপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরে তাদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অহিদুলের সমর্থক খোকন ও বাপ্পি মোল্লাকে আটক করে।
ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী এস এম শাহনেওয়াজ ডালিম জানান, হঠাৎ আনারস প্রতীকের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার বাড়ির সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হামলা চালায়। এতে আমার ভাবিসহ পাঁচ-ছয়জন গুরুতর আহত হন।
তবে আনারস প্রতীকের প্রার্থী অহিদুল ইসলাম মোল্যার দাবি, শোডাউন করার সময় ডালিমের সমর্থকরা তার মিছিলে হামলা চালিয়েছে।
আশাশুনিক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারী জানান, হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি