অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরেপক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সাঈদ উজ জামান সাঈদ। প্রতিপক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর বিরুদ্ধে তার নির্বাচনী পোলিং এজেন্টদের ভোট গ্রহণের দিন কেন্দ্রে না যেতে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ তুলে সোমবার (৬ মে) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান। আগামী বুধবার (৮ মে) শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
লিখিত বক্তব্যে সাঈদ উজ জামান সাঈদ বলেন, আমার পিতা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বিগত ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও নির্বাচন কমিশনারের পক্ষ থেকে নিরেপক্ষ এবং সুষ্ঠ ভোট উপহারের অঙ্গীকার থাকলেও আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী গোলাম মোস্তফা বাংলা উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট না হতে আমার সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। একই সাথে নির্বাচনের দিনে ত্রাস সৃষ্ঠি করার মাধ্যমে উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন থেকে ২০ হাজার ভোট কেটে নেবে এবং অন্যান্য ইউনিয়ন থেকে কেন্দ্র প্রতি ২/৩শ’ ভোট ভোটারদের নিকট থেকে টেবিলের উপরে সিল মেরে নেওয়া অথবা ব্যালেট পেপারে জোর পূর্বক নিজের প্রতিকে তার পোলিং এজন্টদের দিয়ে সিল মেরে নেবে এমনভাবে প্রচার করছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলার সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভীতশাস্ত্রতা কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, আমার প্রতিপক্ষের এমন ধরনের বক্তব্য প্রদানের কারণে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আসতে নিরুৎসাহিত হচ্ছে। এ বিষয় তিনি রির্টানিং কর্মকর্তাসহ উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। তিনি আশা করছেন নির্বাচন কমিশনারের পরিচালনায় একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরেপক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন।
তিনি উল্লেখিত বিয়য়টি আমলে নিয়ে আগামী ৮মে অনুষ্ঠিতব্য শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরেপক্ষ হয় এবং ভোটারা সকল ভয়ভীতি উপেক্ষা করে কেন্দ্রে গিয়ে যাতে নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
খুলনা গেজেট/এএজে