খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬

স্মরণকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি খুলনায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনায় তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। সব রেকর্ড ভেঙে দাবদাহের পারদ ঊর্ধ্বমুখী। বুধবার (১ মে) বিকেল ৩টায় খুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্মরণকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে সোমবার (২৯ এপ্রিল) খুলনায় গত ২৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত ১৩ এপ্রিল থেকে দাবদাহ চলছে। টানা দাবদাহে বিপাকে পড়েছে মানুষ। অসহ্য গরমে জনজীবনে নেমে এসেছে অস্বস্তি। নেই বৃষ্টির দেখা। ফলে বিপাকে পড়েছে মানুষ ও প্রাণীকূল।

নাভিশ্বাস উঠেছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের। অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। এ ছাড়া গরমে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অনেক স্থানে নলকূপ ও পাম্পে ঠিকমতো পানি উঠছে না। অসহ্য গরমে পথচারী, যানবাহন চালক ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের কাছে পানি, শরবত ও ফল নিয়ে যাচ্ছে খুলনার বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠন ও তরুণ সমাজ।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ জানান, আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর খুলনায় ৪২ ডিগ্রি, খুলনার কয়রায় ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি, সাতক্ষীরায় ৪১ দশমিক ৪ ডিগ্রি, মোংলায় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি ও কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪২ ডিগ্রি ও রাজশাহীতে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

ভ্যানচালক ফয়সাল বলেন, এই গরমে ভ্যান চালানোর পর পানি বা শরবত খেলে মনে হয় প্রাণ জুড়িয়ে গেছে। রোদের তাপে নাজেহাল অবস্থা। রোদ থেকে ছায়ায় গেলে ভালো লাগে, তবে কিছুক্ষণ পর আবার যা তাই অবস্থা। বৃষ্টি না হলে গরম কমবে না। আল্লাহ যেন দ্রুতই বৃষ্টি দান করেন।

এদিকে খুলনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া মানুষকে বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। এ ছাড়া গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, বৃষ্টিপাত কমে যাওয়া, জলাশয় ভরাট করা ও গাছপালা কেটে স্থাপনা গড়ে তোলাই প্রধানত গরমের জন্য দায়ী। এ ছাড়া লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় গরম অনুভূত হচ্ছে বেশি।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!