ময়ূর নদসহ সংযুক্ত ক্ষেত্রখালী, হাতিয়া নদীর ২২ কিলোমিটার এবং সংযুক্ত খালগুলো খননের দাবিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) খুলনা শাখার পক্ষ থেকে সোমবার পানিসম্পদ মন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে। খুলনা’র অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা স্মারকলিপি গ্রহণ করা হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সারা দেশের ন্যায় খুলনা অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিশেষত মনুষ্যসৃষ্ট নানা কারণে এ অঞ্চলের নদ-নদী, খাল-জলাশয় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রুগ্ন-ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বলা চলে মৃত্যুর প্রহর গুণছে। অনেক নদী ইতোপূর্বে অস্তিত্ব হারিয়েছে। অনেক নদী বিশেষ করে নদীর সংযুক্ত খালসমূহ স্থায়ীভাবে মানুষের আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। খুলনা মহানগরীর পশ্চিম-দক্ষিণ পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ময়ূর নদসহ এ নদ সংযুক্ত ক্ষেত্রখালী, হাতিয়া নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ২২ কিলোমিটার, রয়েছে প্রায় ২২টি সংযুক্ত খাল। একটি সমন্বিত প্রকল্পের আওতায় এনে নদী ও খালগুলো খনন করে প্রবাহ তথা স্বাভাবিক জোয়ার-ভাটা নিশ্চিত করলে এ অঞ্চলের পরিবেশ-প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষাসহ অর্থনৈতিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।
স্মারকলিপি প্রদানকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাপা’র জাতীয় পরিষদ সদস্য ও খুলনা শাখার সমন্বয়কারী অ্যাড. মোহাম্মদ বাবুল হাওলাদার, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির খুলনা মহানগর সভাপতি শেখ মফিদুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের খুলনা জেলা আহ্বায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, আমরা বৃহত্তর খুলনাবাসীর সাধারণ সম্পাদক সরদার আবু তাহের, কবি ও সাংবাদিক আবু আসলাম বাবু, কে এইচ ফাউন্ডেশনের খ ম শাহীন হোসেন, সিপিবি নেতা গাজী আফজাল হোসেন, যুব ইউনিয়ন নেতা সৈয়দ রিয়াসাত আলী রিয়াজ, সুন্দরবন-নদী সংরক্ষণ ও দক্ষিণবঙ্গ উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল তারেক তুষার, প্রধান শিক্ষক সাঈদা পারভীন, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের খুলনা মহানগর সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর সিকদার, বঙ্গবন্ধু পরিষদের খুলনা জেলা সহ-সভাপতি কাজী আব্দুল ওহাব, ফ্যাশন ডিজাইনার, অভিনয় শিল্পী সুমা বড়াল প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/কেডি