মৌসুমের প্রথম ‘এল ক্লাসিকো’ জিতে নিলো রিয়াল মাদ্রিদ। ন্যু ক্যাম্পে জিতে দুই দলের মধ্যকার জয় সংখ্যার ব্যবধানে এগিয়ে গেলো লস ব্লাঙ্কোসরা। ঘরের মাঠে এদিন লিওনেল মেসি বাহিনী ৩-১ ব্যবধানের হার দেখে। রিয়ালের পক্ষে গোল করেছেন ফেডেরিক ভালভার্দে, সার্জিও রামোস এবং লুকা মদ্রিচ। বার্সেলোনার পক্ষে গোল করেছেন আনসু ফাতি।
ক্যাম্প ন্যুয়ে ম্যাচের মাত্র ষষ্ঠ মিনিটে দেখার মতো এক গোল করে রিয়াল মাদ্রিদকে এগিয়ে দেন ফেদেরিকো ভালভার্দে। ২৪ পাসের সফল সমাপ্তি ঘটে এই গোলের মাধ্যমে। দারুণ গোছানো এক আক্রমণের শুরুটা হয় টনি ক্রুসের হাত ধরে। মেসির কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে শুরুটা করেন রামোস। রামোসের কাছ থেকে বল যায় নাচোর পায়ে। সেখান থেকে বল পেয়ে আলতো পাসে ভালভার্দের দিকে বল ঠেলে দেন করিম বেনজেমা। আর তাতে সফল এক শটে লক্ষ্য খুঁজে পান উরুগুইয়ান মিডফিল্ডার।
রিয়ালের এগিয়ে থাকার আনন্দ অবশ্য মিনিট তিনেক পরেই মাটি করে দেন আনসু ফাতি। বার্সার আলবা অফসাইডের বৃত্ত ভেঙে বাঁদিক থেকে দৌড়ে উঠে আসেন ডি-বক্সের দিকে। রিয়াল ডিফেন্সকে ফাঁকি দিয়ে স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের ক্রসে খুব সহজেই জালের ঠিকানা খুঁজে নেন বার্সার তরুণ ফরোয়ার্ড। এর মাধ্যমে ক্যারিয়ারের প্রথম এল ক্লাসিকো খেলতে নেমেই গোলের রেকর্ড গড়ে ফেললেন ফাতি।
সমতায় ফিরে বেশকিছু আক্রমণ শানিয়েছিল বার্সা। কিন্তু মেসি-কৌতনহো প্রচেষ্টা রুখে দিয়েছেন রিয়াল গোলরক্ষক কুর্তোয়া। দ্বিতীয়ার্ধে বার্সার কপাল পুড়ে ক্লেমেন্ট লেংলের হাত ধরে। নিজেদের ডি-বক্সে বলের দিকে চোখ না রেখেই রামোসের জার্সি ধরে টানাটানি করেন লেংলে। শুরুতে বিষয়টা খেয়াল না করলেও পরে ভিএআর’র সহায়তায় পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সুযোগটা হেলায় নষ্ট করেননি রিয়ালের ‘পেনাল্টি বিশেষজ্ঞ’ রামোস।
ব্যবধান বাড়তেই খেলা থেকে ক্রমেই ছিটকে যেতে থাকে বার্সা। এরপর স্বাগতিকদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন বদলি খেলোয়াড় লুকা মদ্রিচ। ক্রোয়েট মিডফিল্ডার খেলার শেষ বাঁশি বাজার কয়েক মিনিট আগে আক্রমণে উঠে আসা রদ্রিগোকে ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জাল উন্মুক্ত করে দেন বার্সা গোলরক্ষক নেতো। আর শূন্য জালে বল পাঠিয়ে দেন মদ্রিচ।
খুলনা গেজেট/এএমআর