খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  অ্যান্টিগা টেস্ট: প্রথম দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলল ২৫০, বাংলাদেশ পেল ৫ উইকেট

তিন মাস পর প্রকাশ্যে বিএনপির কর্মসূচি, ছিলেন না খুলনার শীর্ষ নেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রায় ৩ মাস পর খুলনায় বড় পরিসরে কর্মসূচি পালন করেছে মহানগর ও জেলা বিএনপি। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় খুলনা প্রেসক্লাবের লিয়াকত আলী মিলনায়তন ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। জানা যায়, মঞ্চ ও অনুষ্ঠানেস্থলে দুটি আহ্বায়ক কমিটির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন না।

বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ২৬ অক্টোবর নগরীর কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ে মহানগর ও জেলা বিএনপির সর্বশেষ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পরদিন মহাসমাবেশে যোগ দিতে ঢাকায় যান স্থানীয় শীর্ষ নেতারা। ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশে সংঘর্ষের পর দলীয় কার্যালয় প্রায় দেড় মাস তালাবদ্ধ ছিল।

গত ১৪ ডিসেম্বর তালা খুলে দলীয় কার্যালয়ে বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় অংশ নেন অল্প কয়েকজন নেতাকর্মী। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের আলোচনা সভায়ও উপস্থিতি ছিল হাতেগোনা কয়েকজন। মহানগর ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অধিকাংশ নেতাই ওই সময় আত্মগোপনে ছিলেন। গ্রেপ্তারের ভয়ে বিজয় দিবসের পর নেতারা কেউ আর দলীয় কার্যালয়ে যাননি।

বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাব মিলয়ানতনে জড়ো হন। বিকেল ৩টার পরে আলোচনা সভা শুরু হয়।

খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি আয়োজিত এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক স ম আব্দুর রহমান। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী। প্রধান আলোচক ছিলেন বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।

সভায় নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রেহেনা ঈসা, কাজী মাহমুদ আলী, আবুল কালাম জিয়া ও শেখ সাদী ছাড়া অন্য যুগ্ম আহ্বায়কদেরকে দেখা যায়নি।

সভাস্থলে ছিলেন না মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম জহির, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হোসেন বাবু প্রমুখ। তারা আত্মগোপনে রয়েছেন। আর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান কারাগারে রয়েছেন।

এই ৫ জনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মহানগর বিএনপির এক নেতা বলেন, শীর্ষ নেতাদের সবার বিরুদ্ধেই নাশকতার একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে তারা প্রকাশ্যে কর্মসূচিতে আসছেন না।

 

খুলনা গেজেট/এইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!