বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও একই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য হরেন্দ্র নাথ শিকদার এবং ৫নং ওয়ার্ড সদস্য শ্রীবাস রায় গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। তাদের বিরেুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর ও করোনা কালীন সরকারি প্রণোদণার দুই হাজার ৫০০ টাকা দেওয়ার কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টায় সন্তোষপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীরা এ দাবি করেন।এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বিধান হীরা জানান, চঞ্চলা বৈরাগী, সাধনা বাগচী ও অনিমা বাড়ৈকে সরকারী অনুদান পাইয়ে দেয়ার কথা বলে এলাকার কতিপয় ব্যাক্তি তাদের কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন। পরবর্তীতে তারা জানতে পারেন তাদের নাম ব্যবহার করে ওই দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ করা হয়েছে। এ অভিযোগ সঠিক নয় বলে তারা সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন। তারা দু’জন গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার বলেও এলাকাবাসিরা দাবি তোলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সন্তোষপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রসুল মাঝি, রিপন হিরা, সীমা হিরা, জয়ন্তি বৈরাগী প্রমুখ।
এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মারুফুল আলম জানান, অভিযোগকারীদের ও দুই ইউপি সদস্যকে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য অফিসে ডাকা হয়েছিল। অভিযোগকারীরা এখন বিষয়টি অস্বীকার করছেন। ঘটনাটি আবারও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট / এনআইআর