সাতক্ষীরায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এক কৃষক ও উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবসর প্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তাসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৭ জুলাই শুক্রবার ভোর থেকে দুপুর সাড়ে ১২ টার মধ্যে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে তারা মারা যান।
করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া কৃষকের নাম বেলাল হোসেন (৫৫)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের মৃত মহিবুর রহমানের
ছেলে। উপসর্গ নিয়ে শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার মৃত রমজান আলীর ছেলে অবসর প্রাপ্ত অগ্রনী ব্যাংক ম্যানেজার গোলাম ইছাহাক (৯০) ও শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার গহর আলীর ছেলে ইব্রাহীম হোসেন (৬০) মারা যান।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, গত ১২ জুলাই জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন কৃষক বেলাল হোসেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোর চারটার দিকে তিনি মারা যান।
মারা যাওয়ার পর শুক্রবার দুপুরে তার করোনা রির্পোট পজেটিভ আসে। এর আগে গত ১৩ জুলাই তার নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে
পাঠানো হয়।
এদিকে, গত ১৫ জুলাই জ¦র ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন অবসর প্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম ইছাহাক। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে তিনি মারা যান। গত ১৬ জুলাই তারও নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হলেও রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে, শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশনে ভর্তি হন শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার ইব্রাহীম হোসেন। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মারা যাওয়ার পর তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, স্বাস্থ্য বিধি মেনে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে তাদের লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে।এনিয়ে সাতক্ষীরায় করেনার উপসর্গ নিয়ে ১৭ জুলাই পর্যন্ত মারা গেছেন মোট ৩১ জন। আর জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১ জন।
খুলনা গেজেট/এনএম